আর্থিক দুরবস্থার কবলে পড়া শ্রীলঙ্কার দিকে ফের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমুদ্রে নজরদারি চালানোর সিস্টেম দেয়া হলো শ্রীলঙ্কাকে। সোমবার ডরনিয়ার মেরিটাইম সারভিলিয়েন্স নামে বিমান দেয়া হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাতে। সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের উপস্থিতিতে ওই দেশের হাতে বিশেষ সিস্টেম হেলিকপ্টার তুলে দেয়া হয়। ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর উপ-প্রধান এস এন ঘোরমাদে। এই পদক্ষেপের ফলে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলে ধারণা ভারতের।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গোপাল বাগালে জানিয়েছেন, 'ভারত এবং শ্রীলঙ্কা, দুই দেশের সম্পর্ক পারস্পরিক নির্ভরতা এবং বিশ্বাসের উপরে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ডরনিয়ার বিমান দেয়ার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেভাবে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, সেইভাবেই নিরাপত্তা রক্ষার কাজেও প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াতে চায় ভারত।' সেইসাথে বাগালে জানিয়েছেন, ভারতের নিজের শক্তির কিছু অংশ দিয়ে প্রতিবেশীদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীকে এই সিস্টেম চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী। বেশ কিছুদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যেই শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ উদ্যোগী নয়া দিল্লি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী দিনেও এইভাবেই শ্রীলঙ্কার সাথে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে চীনা জাহাজ নোঙর করা নিয়ে ভারতের সাথে সংঘাত শুরু হয়েছিল কলম্বোর। চীনা জাহাজ ভারতের প্রতিবেশী দেশের বন্দরে নোঙর করলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে, সেই কথা বলা হয়েছিল দিল্লির পক্ষ থেকে। কিন্তু আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে ওই জাহাজকে হামবানটোটা বন্দরে আসার অনুমতি দেয়া হয়। তখনই শ্রীলঙ্কার উপরে চীনের প্রভাব নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে ভারত। তারপরেই নিরাপত্তা ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার ব্যাপারে আরা মনোযোগী হয় ভারত। সবমিলিয়ে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রনীতির দিকে তাকিয়ে ভারত।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন