বাদাম আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। ইহা শুধু যে বিভিন্ন খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করে তা নয়। বাদাম নানা রোগ প্রতিরোধকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন (এফ.ডি.এ) বিভাগ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গবেষকদের মতে, প্রতিদিন, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে হৃদরোগ সহ বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা কমে আসে। বাদামের উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালিয়ে বিভিন্ন জার্ণাল সহ সম্প্রতি আমেরিকার হার্ট এসোসিয়েশনের জার্ণালে বাদাম সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে বেইজিং মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতেও বাদাম সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে একই ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে।
এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা জানান অধিক কলোষ্টরেল থাকা কোনও হৃদরোগী নিজের কলোষ্টোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে উপকার পাবেন। বাদাম হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে স্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
গবেষকদের মতে এক আউন্স বাদাম প্রতিদিন ৫/৬ বার করে নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার হয়। বাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের ওজন কিছু পরিমাণে বৃদ্ধি করলেও শরীরে ইনুসলিনের প্রয়োজন হ্রাসে সহায়তা করে থাকে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বাদাম উপযোগী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। ওজন কমানোর জন্য দৈনন্দিন নির্ধারিত খাদ্য তালিকায় বাদাম নিঃসন্দেহে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে বলে গবেষকরা জানান। বাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথেষ্ট কম থাকে যার জন্য ওজন কমাতে হলে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খেলে ওজন হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যও সুন্দর হয়।
বাদাম ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগের জন্য উপকারী। কালিফোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক গবেষণায় তা প্রমাণিত ও হয়েছে। আমেরিকার ন্যাশনেল একাডেমী অব সায়েন্স এ প্রকাশিত তথ্য মতে কেউ প্রতিদিন কম করে ও ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন “ই” খাদ্য থেকে পাওয়া উচিত, যা হয়ত প্রতিদিনের সাধারণ খাদ্য সামগ্রী থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিদিন যাওয়ার পর এক আউন্স বাদাম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ই-র পরিমাণ সঠিক থাকবে।
আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিষ্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন