সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ের মিলিয়ন ডলারের শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তযুক্ত মেক্সিকোতে ভিড় করেছে চীনা কারখানাগুলো। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কিন উচ্চ শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওই সীমান্তজুড়ে দোকান বসিয়েছে। জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও হংকংভিত্তিক কোম্পানিগুলো ২০২১ মেক্সিকোতে ৬০৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭৬ শতাংশ বেশি। ১৯৯৯ সালে বিনিয়োগ শুরুর পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ।
মেক্সিকোর অর্থ সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সম্প্রতি বিনিয়োগের এই ব্যাপক বৃদ্ধি চীনকে মেক্সিকোর নবম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী করে তুলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পরেই এখন দেশটির অবস্থান। ২০২১ সালে মেক্সিকান শহর নুয়েভো লিওনে চীনের সঙ্গে ১৮টি চুক্তি হয়েছিল, আগের বছর এই সংখ্যা ছিল সাতটি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালে দুয়েকটি চুক্তি হয়েছিল।
২০২২ সালে মেক্সিকোতে ১ হাজার ২৮৯টি চীনা কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানি অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। বড় আকারের বিনিয়োগের কারণে মেক্সিকোতে চীনের রপ্তানি গত বছর ১০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, পাঁচ বছর আগের তুলনায় যা ৫০ শতাংশ বেশি এবং মেক্সিকোতে প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির তুলনায় অর্ধেকের কাছাকাছি।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকোর রপ্তানি মোট ৩৯৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা পাঁচ বছর আগের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি; যদিও চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এর পেছনে কতটা অবদান রেখেছে তা অজানা। মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের দুই বছর পর এই বিনিয়োগের চিত্র উঠে এসেছে। সেসময় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৮ সালের জুলাই থেকে বিভিন্ন ধরনের চীনা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স জানিয়েছে, বেইজিং আমেরিকান পণ্যের উপর পাঁচ গুণ শুল্ক আরোপ করে গড়ে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন