শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এক গ্রামে অনেক ‘শহর’

ঢাকা-মাওয়া সড়কে হাউজিং প্রতারণা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ভূমিদস্যুদের কবলে কৃষি ও খাস জমি

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

এবড়ো-থেবড়ো সড়ক। ঘাসে বিলি কেটে সিঁথির মতো নেমেছে আইল। জনচলাচলে সৃষ্ট আইল খানিক পর পর নিয়েছে বাঁক। দু’পাশে ঘন চুলের মতো চিরল সবুজ কাঁশবন। ক’দিন আগেও এখানে আলু, পেঁয়াজ, সরিষার ক্ষেত। এখন বিশাল বিশাল সাইনবোর্ড। দানবীয় এস্কেভেটরে কোথাও চলছে বালু ভরাট।

ঢাকা-মাওয়া সড়কে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাউন্ডারি ঘেঁষা এলাকাটির নাম ‘খাসকান্দি’। হাইওয়েতে শোভিত ‘স্টার প্লাস ফিউচার সিটি’, ‘সরকার ডিজিটাল সিটি’, ‘সরকার গ্রিন সিটি’, ‘নবধারা স্যাটেলাইট সিটি’র অ্যারো চিহ্নই গ্রাহককে নির্দেশ করবে যেতে হবে কোন্দিকে।

নির্দেশ মতো এলজিইডির পথ ধরে এগোলেই চোখে পড়ে ‘এনসিউর লেক সিটি’, ‘স্বপ্নপুরী গার্ডেন সিটি’, ‘ফ্রেন্ডস ইউনাইটেড হাউজিং কোম্পানি লি:’ ‘আনার কলি মডেল টাউন’সহ বহু নাম। আরেকটু সামনে বাড়লেই ‘সবুজ ছায়া রিভার সিটি, ‘সুমন মডেল টাউন’। ‘সবুজ ছায়া’ পাড় ঘেঁষে বলে যাওয়া বিলের ওইপাড়ে চোখে পড়বে ‘ভেনাস লেক ভিউ’র বাউন্ডারি।

এ এক অদ্ভুত জনপদ। যেখানে একই মৌজা এমনকি একই গ্রামে চোখে পড়ে ‘সিটি’ নামযুক্ত অসংখ্য হাউজিং কোম্পানি। সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর খাসকান্দি, পাইনাচর গোলগুলিয়া চর, মদিনাপাড়া, নাজিরা বাজার এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিজুড়ে এখন হাউজিং কোম্পানির সাইনবোর্ড। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, মেম্বার, চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় তিন ফসলি গ্রাস করে হচ্ছে হাউজিং।

এখানকার ৯৫ ভাগ হাউজিং কোম্পানিরই কোনো অনুমোদন নেই। অনেকের বাপ-দাদার ভিটা, জমি জবরদখল করে, কখনওবা খাস জমি, খাল, নদী, পুকুর ভরাট করে কিস্তিতে বিক্রি করছে প্লট। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদফতর, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ অনুমোদনহীন হাউজিং কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে করছে সহযোগিতা।

এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা থাকার কারণেই প্রশাসনের নাকের ডগায় হাউজিং কোম্পানির নামে চলছে প্রকাশ্য প্রতারণা। সরেজমিনে দেখা যায়, শুধুমাত্র বালুচর ইউনিয়নের ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ডেই রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি হাউজিং প্রকল্পের সাইনবোর্ড। যারমধ্যে দু-একটি ছাড়া কারোরই অনুমোদন ও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। হাউজিংগুলো খাস ও ফসলি জমি ও সংরক্ষিত জলাভূমি ভরাট করে অবৈধভাবে হাউজিং ব্যবসা চালাচ্ছে।

চান্দের চর এলাকার নূর হোসেন চুন্নু বলেন, এসব হাউজিং কোম্পানি এলাকায় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে। উত্তরণ হাউজিং নামক একটি প্রতিষ্ঠান আমার জমি দখল করে বালু ভরাট করেছে। জমিতে গেলে আমাদের মারধোর করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করলেও মেম্বার-চেম্বারগণ ভূমিদস্যদের পক্ষেই কথা বলছে। সিরাজদিখান উপজেলাধীন ১৪টি ইউনিয়নেই দ্রুততার সঙ্গে কমছে ফসলি জমি। এতে একদিকে যেমনÑ কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে, তেমনি পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, গৃহনির্মাণ ও ইটভাটায় মাটি বিক্রি করায় এখানে কৃষি জমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা মেলে, উপজেলার বালুচর, লতব্দী, বাসাইল, কেয়াইন, চিত্রকোট ইউনিয়নে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের দু’পাশে নামে-বেনামে গড়ে উঠছে অসংখ্য হাউজিং কোম্পানি। ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় এখানে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তাবিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাÑ যেমন বর্তমান কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার, প্রস্তাবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, ডিওএইচএস, ক্যান্টনমেন্ট, স্টেডিয়াম, হাট-বাজার ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধার কথা বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছে।

কোম্পানির নামে কোনো জমি নেই। তা সত্ত্বেও বিরাট এলাকাজুড়ে প্রকল্পের লে-আউট দেখিয়ে বিক্রি করছে প্লট। এর মধ্যে কিছু রয়েছে পৈত্রিকভিটায় কয়েক শতক জমির ওপর সাইনবোর্ড টানিয়ে ঘোষণা করেছেন ‘হাউজিং কোম্পানি’। কেউবা জমির মালিকের কাছ থেকে আমমোক্তার নামা নিয়ে টানিয়ে দিয়েছেন কোম্পানির সাইনবোর্ড।

তবে কোনো ধরনের জমি ছাড়াও এখানে চলছে হাউজিং কোম্পানির সাইনবোর্ড ব্যবসা। অন্যের জমি কিছুদিনের জন্য ভাড়া নিয়ে ঝোলানো আছে সাইনবোর্ড। ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে সাইনবোর্ড বদলে যায়। বসে অন্য কোনো কোম্পানির সাইনবোর্ড। কখনও বা গ্রাহকের অজান্তেই হাতবদল হচ্ছে কোম্পানির মালিকানা। ঢাকার আশপাশে মাথাগোঁজার ঠাঁই করতে নিজের একখণ্ড জমি খুঁজছেন যারাÑ তারাই এসব হাউজিং কোম্পানির ‘ক্রেতা’।

মধ্যবিত্তের লালিত স্বপ্নই কথিত হাউজিং কোম্পানিগুলোর পুঁজি। স্বল্প আয়ের মানুষের সারাজীবনের সঞ্চয় যেনতেনভাবে হাতিয়ে নেয়াই এদের টার্গেট। প্রথমে সহজ শর্তে বুকিং। পরে দীর্ঘসময়ে সহজ কিস্তি। কয়েক কিস্তি হাতিয়ে নেয়ার পরই শুরু হয় ভিন্ন গল্প। কিস্তির পর কিস্তি দিলেও গ্রাহক বুঝে পান না প্লট। যে কয়েকটি কোম্পানি এখানে গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেÑ তাদেরও প্লট বুঝিয়ে দেয়ার ঘটনা বিরল।

গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিতেই হাউজিংয়ে নামের ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল উদ্দেশ্য। প্লট বুকিং দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। সহজ-সরল মানুষকে প্লট দেয়ার নামে একশ্রেণির প্রতারক হাতিয়ে নিচ্ছেÑ কোটি কোটি টাকা। ঢাকা-মাওয়া সড়কের দুইপাশের এলাকা পরিদর্শনে মিলেছে এসব তথ্য।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কেরাণীগঞ্জ মোল্লা বাজার, রাজানগর, বাঘাইর, কালাকান্দি, রোহিতপুর, নাজিরা বাজার এলাকা হাউজিং কোম্পানিতে এখন সয়লাব। সাইনবোর্ডে ‘সুখের ঠিকানা’, ‘স্বপ্ন হবে সত্যি’ ইত্যাদি চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হচ্ছেন অনেকে। বিশেষত : পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকার জমি হয়ে গেছে স্বর্ণতুল্য। এছাড়া রাজাউকের ‘ঝিলমিল প্রকল্প, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ক্যান্টনমেন্টের জন্য জমি অধিগ্রহণ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পসের জমি অধিগ্রহণ এবং ‘ডিসি প্রজেক্ট’র কারণে এখানকার জমির চাহিদা বেড়ে অত্যধিক।

মূল রাজধানী শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় এলাকাটি ঘিরে মানুষের আগ্রহও বেড়েছে অনেক। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির মানুষ হাউজিংয়ের নামে ফেঁদেছে প্রতারণার ফাঁদ। ব্যাঙের ছাতার মতো এখানে গজিয়ে উঠেছে কথিত হাউজিং কোম্পানি। রাস্তা-ঘাট নেই। দেখা নেই কোনো নাগরিক সুবিধারও। একটির গা ঘেঁষে আরেকটি প্রকল্পের বাউন্ডারি। কোন্ দাগ থেকে কোনটির শুরুÑ বোঝা কঠিন। এখানকার পায়ে হাঁটা দূরত্বেই চোখে পড়ে অন্তত : অর্ধশতাধিক হাউজিং কোম্পানি।

সানওয়ে স্যাটেলাইট সিটি, এনসিওর লেক সিটি, নিউ ঢাকা সিটি, দক্ষিণা গ্রিন সিটি, গ্র্যান্ড লেক হোমস, এ্যাপোলো হাউজিং, নতুন ধারা, আইডল সিটি, জন্মভূমি সিটি, মাতৃভূমি সিটি, বাতায়ন, নিকেতন সিটি, মডার্ণ গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকা, এশিয়ান টাউন শান্তি নিবাস, সিলভার হাউজিং লিমিটেড, সিলভার গ্রিন সিটি, ধরিত্রী, সাউথ ঢাকা মডেল টাউন, পুষ্পধারা, স্বপ্নধরা, দখিনাচল, মায়া কানন, জামিল মোহাম্মদ সিটি, জমিদার পল্লীর মতো বহু বাহারি নাম। এর বাইরেও রয়েছে অসংখ্য কোম্পানি। বিপণন প্রতিনিধি, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, চটকদার বিজ্ঞাপন, ব্রুশিয়র, অনলাইন প্রচারণা, ফেসবুক, ইউটিউব, মোবাইল এসএমএস এবং শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহক কাছে টানছে এরা। সহজ শর্ত, সহজ কিস্তি, ব্যাংক ঋণ, ৫০ ভাগ কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে সাফকবলা রেজিস্ট্রি, আজ প্লট রেজিস্ট্রি করে কালই বাড়ি করুন ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বুকিং মানি নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কিস্তির পরিশোধের বিপরীতে গ্রাহককে দেয়া হয় হাউজিং কোম্পানির মুদ্রিত মানি রসিদ।

কিন্তু কাগজপত্র খতিয়ে দেখলে ধরা পড়ে, কোম্পানির নামে কোনো জমিই নেই। জমি খরিদের সাফকবলা যে দলিল গ্রাহককে দেখানো হয়, সেটি থাকে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির নামে। সব কিস্তি পরিশোধ হলেও কিস্তি পরিশোধে ‘ত্রুটি’ দেখিয়ে একতরফাভাবে বাতিল করে দেয়া হয় বুকিং। গ্রাহক তখন প্লট তো পানই না, টাকাও ফেরত পান না। আইনের আশ্রয় নিতে গেলে দেখা যায়, হাউজিং কোম্পানিটিই অবৈধ। কোম্পানির নামে কোনো দলিলও পাওয়া যায় না। যার স্বাক্ষরে মানি রিসিপ্ট দেয়া হয় তিনি হচ্ছেন বেতনভুক্ত কর্মচারী। ততোদিনে তাকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত দেখানো হয়। ফলে ধরার মতো গ্রাহকের হাতে কোনো প্রমাণই থাকে না।
গ্রাহকরা কেউ দেনদরবার করতে গেলে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়। মামলা-মোকদ্দমায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। কখনওবা স্থানীয় প্রশাসন, মাস্তান এবং কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিকে দিয়ে করা হয় হয়রানি। টাকা পরিশোধের পরও নিষ্কণ্টক প্লট বুঝে পাওয়ার নজির বিরল।

এদিকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, হাউজিং কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে সরকার ২০১০ সালে ‘রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন’ করে। পরে একটি বিধিও করা হয়। আইনের ৫(১) ধারা অনুযায়ী কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় হাউজিং কোম্পানি পরিচালনার জন্য নিবন্ধন নেয়া বাধ্যতামূলক। বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত-২০১২,২০১৫) অনুযায়ী জাগৃক নিবন্ধিত উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান মাত্র ১৪৯টি। অথচ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মতোই ঢাকার ক্রম: সম্প্রসারমান এলাকায় গজিয়ে উঠেছে শত শত হাউজিং কোম্পানি। কীভাবে এরা প্লট বিক্রি করছেÑ জানতে চাইলে ‘জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ’র চেয়ারম্যান মো: দেলওয়ার হায়দার বলেন, অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমাদের একটি সার্ভিলেন্স সিস্টেম রয়েছে। অবৈধ বেসরকারি হাউজিং কোম্পানির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। বেশকিছু অবৈধ হাউজিং প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে উচ্ছেদও করা হয়েছে। মাঝে করোনা পরিস্থিতির কারণে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া কিছুটা সেøা ছিল। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রক্রিয়া আবারও শুরু হবে।

পরিবেশ অধিদফতর, মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: আখতারুজ্জামান টুকু বলেন, এভাবে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা আমাদের নিষেধ। মুন্সিগঞ্জ কতগুলো অবৈধ হাউজিং কোম্পানি রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমির মালিক হচ্ছে ডিসি অফিস। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ ছাড়পত্র দেয়া হয়েছেÑ প্রশ্নে তিনি বলেন, নথি দেখে বলতে হবে।

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় জেলার সব খাস জমি, হাটবাজার, বালুমহালসহ সকল সায়রাতমহাল জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন। জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়ই কথিত এসব হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রি করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ওইসব কর্মকর্তারা নিয়মিত মাসোয়ারাও পেয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) স্নেহাশীষ দাশকে তার অফিসিয়াল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন