পাঁচ বছর আগে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে ‘বড় উপহার’ দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আমেরিকা থেকে সেই হানাদার প্রিডেটর ড্রোন কেনার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নয়াদিল্লি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সামরিক উৎপাদনক্ষেত্রে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগানই ট্রাম্পের ‘ঘাতক’ উপহার আমদানির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠেছে।
তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে আল কায়দা প্রধান আয়মান আর জাওয়াহিরি— গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকারের’ তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছেন। জেনারেল অ্যাটোমিক্স-এর তৈরি এই ড্রোনের পোশাকি নাম এমকিউ-৯বি। ২০১৭ সালে সেই ড্রোন ভারতকে দেয়ার ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। মোট ৩০টি প্রিডেটর ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নিয়েছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিডেটর ড্রোন হাতে এলে ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার পক্ষে বিনা ঝুঁকিতেই বালাকোটের মতো অভিযান চালানো সম্ভব হবে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা। সূত্রের খবর, ১,৭০০ কিলোগ্রামের বেশি ওজনের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন পেতে উৎসাহী ছিল ভারতীয় সেনাও। কিন্তু বাধ সেধেছে গত বছর মোদী সরকারের একটি পদক্ষেপ। প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গত বছর ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই তালিকায় রয়েছে বিদেশে তৈরি ড্রোনও।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের ‘উপহার’ নিয়ে অনিশ্চয়তা বহাল রয়েছে এখনও। জেনারেল অ্যাটোমিক্স-এর সিইও বিবেক লালকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হানাদার ড্রোন কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রিডেটর নির্মাতা সংস্থার আলোচনা এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সূত্র: এবিপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন