নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আরএসএস-এর মতো হিন্দু ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলি ভারতের বেশিরভাগ সরকার জুড়ে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে, বিশেষ করে নতুন শিক্ষা নীতিতেও। বিজেপি সরকার তার রাজনৈতিক স্কোরের জন্য শিক্ষাকে আরএসএসের পরীক্ষাগারে পরিণত করেছে। সম্প্রতি, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) ম্যানেজিং কমিটি সিলেবাস থেকে পাকিস্তানি লেখক মাওলানা আবুল আলা মওদুদি এবং সৈয়দ কুতুবের বই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।–জিও টিভি, ইন্ডিয়া টুডে
এই বইগুলো ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বইগুলি অঅলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ এবং এমএ ক্লাসে পড়ানো হত। চরমপন্থী আরএসএস কর্মী এবং শিক্ষাবিদ মধু কিশওয়ার এবং আরও কিছু আরএসএস-বিজেপি মনোভাবাপন্ন শিক্ষাবিদদের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লেখা সাম্প্রতিক একটি চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে ছাত্রদের এই লেখকদের বই না পড়ানোর দাবি করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বোর্ড পাকিস্তানি লেখকদের লেখা সব বিতর্কিত বই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক আর মহালক্ষ্মী বলেছেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কারণ, স্পষ্টতই এটি একাডেমিক বিবেচনা নয় বরং আমাদের সময়ের রাজনীতিই সিদ্ধান্তকারী ফ্যাক্টর।
ভারতের দলীয়করণ নিশ্চিতভাবেই ভারতীয় জনগণের জন্য, বিশেষ করে নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি বয়ে আনবে। মোদি যদি তার পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত জাফরান সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাজানো এই জাতিগত ও ধর্মীয় কুসংস্কারের অবসান না করেন, তাহলে ভারতজুড়ে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য বলে মনে হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন