পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে সরকারের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তার সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে একজন মহিলা বিচারক ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘হুমকি দেয়ার’ অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। ওই বিচারক তার শীর্ষ সহযোগীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে প্রতিরক্ষামূলক জামিন দেয়া হয়েছিল। তারপরে ক্রিকেটার থেকে তারকায় পরিণত এ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং বেআইনি সমাবেশ সহ কমপক্ষে আরও দুটি ফৌজদারি মামলা যুক্ত করা হয়েছে।
আদালত অবমাননার দায়ে ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করা হতে পারে। তার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি বলেছে যে, মামলাগুলি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এই বছরের এপ্রিলে তাকে অপসারণের পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সরকারবিরোধী সমাবেশ করা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে মামলাগুলো দেয়া হয়েছে।
ইসলামাবাদে নাপিতের কাজ করেন ২৩ বছর বয়সী মুহম্মদ ওয়াসিম। তিনি ইমরান খানের একজন সমর্থক। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তাকে অপসারণ করা অন্যায় ছিল। তিনি বার্তা সংস্থা আল জাজিরাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান শুধু ইমরান খানকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি একজন শক্তিশালী নেতা যিনি কারো দ্বারা নির্দেশিত হতে পারেন না।’
ইমরান খান এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থা ভোট হারানোর পর তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকে তিনি নতুন নির্বাচনের ডাক দিয়ে সারাদেশে সমাবেশ করছেন। ইমরান খানের আরেক সমর্থক নীলফার রাজা, যিনি ইসলামাবাদের একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন, তিনি পিটিআই নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে রাজধানীতে পিটিআইয়ের একটি সমাবেশও মিস করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলাগুলি সরকার চালাচ্ছে না, ‘অন্য কেউ পেছন থেকে সুতা টানছে’। ‘এ সবই করা হচ্ছে খানকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে। আমরা এটি ঘটতে দেব না এবং আমরা ইমরান খানের জন্য আমাদের জীবন দিতে ইচ্ছুক,’ তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন।
ওয়াসিম বলেন, পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানগুলো খানকে তার কণ্ঠস্বর চাপা দিতে তাকে আলাদা করছে। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো সবই তাকে চুপ করানোর জন্য চাপের কৌশল।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের এ ঘৃণ্য কৌশল ইতিমধ্যে বিভক্ত সমাজে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। সূত্র: আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন