বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘রোহিঙ্গা স্মরণ দিবস’ পালন করেছে। পাঁচ বছর আগে এ দিনে বার্মিজ সেনাবাহিনী তীব্র সহিংসতার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য করেছিল।
জাতিসংঘ সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু কোনো শাস্তি হয়নি। বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই এখন বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে।
তবে এখনও প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে রয়ে গেছে। তাদেরকে এমন জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন মানবাধিকার সংগঠন ফোর্টফাই রাইটস যাকে ‘আধুনিক কনসেনট্রেশন ক্যাম্প’ বলে অভীহিত করেছে। সেখানে জায়গা অপ্রতুল, কাঠামো দূর্বল এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
বার্মিজ সেনাবাহিনীর দ্বারা গত বছর ডি-ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচির সরকারকে পতনের পর থেকে তাদের দুর্দশা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তারা শিক্ষা এবং জীবিকার জন্য কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সামরিক জান্তা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও গ্রামে যেতে বাধা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা সীমান্তের যে দিকেই থাকুক না কেন, তাদের অভিজ্ঞতা প্রায় একই: কাঁটাতারের বেড়া, ক্ষুধা ও দুর্দশা। সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন