২০২২ সালের এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক লাখ মানুষ মারা গিয়েছে। প্রতিরোধের জন্য সব উপায় বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও এত সংখ্যক মৃত্যুকে ‘দুঃখজনক মাইলফলক’ বলে অভিহিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহানে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সাড়ে ৬৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ডব্লিউএইচও। এদিন জেনেভার সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস প্রশ্ন তোলেন, এই পর্যন্ত বিশ্ব সত্যিই মহামারীর শীর্ষে ছিল কি-না। এ সময় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন গেব্রেয়াসিস। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্যের টিকা দান কার্যক্রম জোরদারের জন্য সব দেশের সরকারকে আহবান জানাচ্ছি। গত জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার দেয়ার আশা করলে ১৩৬টি দেশ লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। ৬৬টি দেশে এ হার ৪০ শতাংশের নিচে। বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ টিকাহীন রয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর তিন-চতুর্থাংশ বয়স্ক ব্যক্তি বলেও জানান ডব্লিউএইচও প্রধান। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন