রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম ভ্রুণ তৈরির দাবি, আছে মস্তিষ্ক-হৃৎপিন্ডও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

মস্তিষ্ক, স্পন্দিত হৃদযন্ত্র আর শরীরের অন্যান্য প্রত্যেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করতে পারে এমন বøকসহ বিশ্বের প্রথম ‘কৃত্রিম ভ্র‚ণ’ তৈরির দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। বিশ্বে প্রথমবারের কৃত্রিম এই ভ্র‚ণ তৈরি করা হয়েছে ইঁদুরের স্টেম সেল থেকে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম ভ্র‚ণ তৈরির দাবি করা হয়েছে বলে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিম্বাণু অথবা শুক্রাণু ব্যবহার করার বদলে কেমব্রিজের অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জের্নিকান্ডগোয়েৎজ নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদের একটি দল স্টেম সেল ব্যবহার করে কৃত্রিম ভ্র‚ণের মডেলটি তৈরি করেছে। যা শরীরের স্টেম সেল এবং প্রায় যেকোনো ধরনের কোষের পার্থক্য করতে পারে। শরীরের একটি আদি কোষ হলো স্টেম সেল। সাধারণত জন্মের পর একটি কোষ থেকে সব ধরনের কোষ তৈরি হয়। মানুষের শরীরে অন্তত ২০০ রকমের কোষ রয়েছে। আর এসব কোষ নির্দিষ্ট একটি কোষ থেকে তৈরি হয়। আদি কোষকে ব্যবহার করে নতুন যেকোনো ধরনের কোষ তৈরি করা যায়। কেমব্রিজের অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জের্নিকান্ডগোয়েৎজ নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীদের একটি দল কৃত্রিম ভ্র‚ণের মডেলটি তৈরি করেছে। গবেষকরা বলেছেন, আদিম স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে উপস্থিত তিন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন স্টেম সেলকে এমন এক পর্যায়ে আনা হয়েছিল, যেগুলো গবেষণাগারে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার অনুকরণ করে মিথস্ক্রিয়া শুরু করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গবেষকরা একটি নির্দিষ্ট ধরনের জিনের উৎপাদন উসকে দেন এবং সেসবের মিথস্ক্রিয়ার জন্য বিশেষ পরিবেশ তৈরি করেন। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা স্টেম সেলগুলোকে পরস্পরের সাথে ‘মিথস্ক্রিয়ায়’ রাজি করাতে সক্ষম হন। গবেষকদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘আমাদের ইঁদুরের ভ্র‚ণের মডেল শুধুমাত্র মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়নি, বরং একটি স্পন্দিত হৃৎপিন্ডও তৈরি করেছে। এতে এমন সব উপাদান রয়েছে যা শরীরের গঠনে ভ‚মিকা রাখে।’ ইঁদুরের ভ্র‚ণের এই মডেল শুধুমাত্র মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়নি, বরং একটি স্পন্দিত হৃৎপিন্ডও তৈরি করেছে। কেমব্রিজের অধ্যাপক ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গোয়েৎজ বলেছেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য যে আমরা এখন পর্যন্ত এতদূর আসতে পেরেছি। আমাদের বিজ্ঞানীদের বছরের পর বছরের স্বপ্ন ছিল এটি। এক দশক ধরে আমাদের কাজের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এটি এবং অবশেষে আমরা সফল হয়েছি।’ নিউইয়র্ক পোস্ট।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন