শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

স্যান্ডার্স ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হিলারি

মনোনয়ন লাভে আবারো মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্যান্ডার্স ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ পেড়েছে হিলারির। আইওয়া ককাসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের চেয়ে সামান্য এগিয়ে থাকলেও নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারি বা প্রার্থিতার প্রাক-নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। এমনটা যদি চলতেই থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়নের ক্ষেত্রে আবারো মুখ থুবড়ে পড়তে পারেন হিলারি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হিলারির এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনো কণ্টকাকীর্ণ, মসৃণ নয়। অপরদিকে, নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে জয়ী হয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স। সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয়তার পারদে ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা। সে কারণে স্যান্ডার্স অনেকটাই ফুরফুরে মেজাজে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কপালে চিন্তার ভাঁজ পেড়েছে হিলারি ক্লিনটনের। কারণ, প্রাইমারিতে পিছিয়ে যাওয়ার ফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছেন তিনি। নির্বাচনী প্রচারণায় আগের মতো সাড়া পাচ্ছেন না সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাছাড়া বিভিন্ন করপোরেশন থেকে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বেকায়দায় আছেন তিনি। দুর্নীতিগ্রস্ত বিভিন্ন করপোরেশনের কাছ থেকে তহবিল নিয়ে হিলারি তাদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেবেনÑ এখন এ কথাই বলে বেড়াচ্ছেন স্যান্ডার্স এবং তার সমর্থকরা। এদিকে, বার্নি স্যান্ডার্সের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় আগামী ককাস এবং প্রাইমারিগুলোতেও প্রথম দু’টির প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যদিও বিভিন্ন জরিপ বলছে, সাউথ ক্যারোলিনার প্রাইমারি এবং নেভাদা ককাসে হিলারি এগিয়ে রয়েছেন, কিন্তু নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বার্নি স্যান্ডার্স সাউথ ক্যারোলিনা এবং নেভাদা ককাসে হিলারির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে স্যান্ডার্সের সমর্থকরাও নেভাদা এবং সাউথ ক্যারোলিনায় তার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাদের মতে, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিসেবে বার্নি স্যান্ডার্সই একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি, যিনি রিপাবলিকান প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারবেন। স্যান্ডার্সের এক সমর্থক বলেন, হিলারি জনগণের ব্যাপারে চিন্তা করেন না। তিনি বিভিন্ন করপোরেশন এবং তার তহবিল নিয়েই বেশি চিন্তিত। এজন্যই তাকে আমি সমর্থন করতে পারছি না। পেগি গ্রিনাউ নামের আরেকজন গৃহিণী বলেন, আমি হিলারিকে বিশ্বাস করি না। এছাড়া বার্নি স্যান্ডার্সের আরেকজন নারী সমর্থক মেরিলিন ডেলুকা বলেন, স্যান্ডার্সই একমাত্র প্রার্থী, যার চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া উচিত। এভাবে নারীরাও ক্রমেই হিলারির কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। যদিও বিভিন্ন জরিপ মতে, এখনো নারী ভোটারদের বড় একটি অংশ হিলারিকেই ভোট দিতে যাচ্ছে, তবে তরুণীদের ভোট দখলে হিলারির চেয়ে স্যান্ডার্সই এগিয়ে। উল্লেখ্য, মনোনয়নের দৌড় শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জরিপে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে এগিয়ে যাচ্ছেন বার্নি স্যান্ডার্স। এজন্য হিলারির স্বপ্ন ফিকে হওয়ার পথে রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। ২০০৮ সালে এভাবে বারাক ওবামার কাছে ককাস এবং প্রাইমারিতে হেরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়নের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছিলেন হিলারি। এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলে মনে করেন বার্নি স্যান্ডার্সের সমর্থকরা।
এদিকে, হিলারির ই-মেইল বিতর্কই তাকে অনেকখানি পিছিয়ে দিচ্ছে বলেও মনে করেন তার সমর্থকরা। সাম্প্রতিক সময়ে ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা না হলে প্রাইমারি এবং ককাসে তুলনামূলকভাবে আরো বেশি ইতিবাচক ফল পেতেন বলে মনে করেন তারা। যদিও নিউ হ্যাম্পশায়ারে বড় ব্যবধানের পরাজয়ে এখনই হাল ছেড়ে দিতে তারা প্রস্তুত নন বলে জানিয়েছেন হিলারির সমর্থকরা। দ্য ডেইলি বিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন