বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতে ক্রমবর্ধমান ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে প্রতিবাদ রাজনীতিকদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতে হিন্দুত্ববাদী সম্প্রতি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলাম বিদ্বেষ বাড়ছে। প্রকাশ্যে মুসলিমদের পিটিয়ে মারা থেকে শুরু ধর্ষণ, কোন ঘটনারই বিচার হচ্ছে না। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্রও নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। সম্প্রতি এক ব্যক্তি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগিতে খাবার অর্ডার করার সময় নির্দেশ দেন কোনও মুসলিম ডেলিভারি বয়কে দিয়ে তাকে যেন খাবার না পাঠানো হয়। এই ঘটনা সামনে আসতেই আবার শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ভারতের কয়েকজন রাজনীতিবিদও এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। এ বিষয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া বলেন, ওই ফুড ডেলিভারি কোম্পানির উচিত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। এমনকি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তাবও দেন তিনি। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘হায়দরাবাদে এক ব্যক্তি খাবার ডেলিভারি অ্যাপ সুইগিকে নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন মুসলিম ডেলিভারি বয়ের হাতে খাবার না পাঠায়। এই সব দেখে মনে হচ্ছে কট্টরপন্থ সীমা ছাড়িয়েছে। এই জাতীয় ঘটনা এখন খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দেশে। এরই সঙ্গে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবারও দাবি জানান। তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, হায়দরাবাদের ওই ব্যক্তির কাজ একেবারেই মেনে নেয়া যায় না। তা সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি টুইটে লেখেন, এতদিন যেটা ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, আজ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। এর প্রভাব পড়বে সার্বজনিক ভাবে। কংগ্রেস নেতা কার্তি চিদাম্বরমও এই ধরনের অনুরোধের নিন্দা করেছেন এবং সুইগিকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন। ‘প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলো বসে বসে দেখতে পারে না যে, তাদের কর্মীরা ধর্মের নামে এমন নির্লজ্জ গোঁড়ামির মুখোমুখি হচ্ছে। কর্মীদের অধিকার রক্ষার জন্য এই জাতীয় সংস্থাগুলো কী পদক্ষেপ নেবে?’ তিনি টুইট করেছেন। প্রসঙ্গত, সুইগির ফুড ডেলিভারি অ্যাপে এমন নির্দেশ দেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তেলেঙ্গানার ট্যাক্সি এবং ড্রাইভার জয়েন্ট একশন কমিটির প্রধান শেখ সালাউদ্দিন। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় এই পোস্ট। এই ছবির সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘আমরা যারা ডেলিভারি কর্মী, তারা কখনও ধর্ম দেখে খাবার দিতে যাই না। যিনি খাবার অর্ডার করেছেন তিনি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রীস্টান যা খুশি হতে পারেন।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন