বেকারত্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন এক যুবক। পরে ৭৭ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। অবশ্য আত্মহননের কয়েকদিন আগে নিজের মাকেও তিনি হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম ক্ষিতিজ। আর তার মায়ের নাম মিথিলেশ। ছেলের হাতে প্রাণ হারানো মিথিলেশ বিধবা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মাকে হত্যার কয়েকদিনের মাথায় রোববার দিল্লির রোহিণী এলাকায় ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ক্ষিতিজ দুই-তিন দিন আগে তার মাকে হত্যা করে এবং তার লাশ বাথরুমে পাওয়া যায়। আর এরপর রোববার ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মূলত প্রতিবেশীরা ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূল দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। পরে কর্মীরা বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান। পরে ওয়াশরুমে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মৃতদেহ অত্যন্ত পচনশীল অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (রোহিনী) প্রণব তয়াল। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে ক্ষিতিজের লেখা প্রায় ৭৭ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছি। নোটে ক্ষিতিজ স্বীকার করেছেন যে, তিনি গত বৃহস্পতিবার তার মাকে হত্যা করেছেন। পরে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আমরা ঘটনাস্থলে ক্রাইম টিম এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাব টিম পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রণব তয়াল জানান, সুইসাইড নোটে ক্ষিতিজ নিজের ‘বিষণ্নতা’ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন এবং বেকারত্বের কারণে তিনি নিজের জীবন শেষ করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। পরিবারের বিষয়ে জানতে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন