চিলির জনগণ প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বৈরশাসক অগাস্তো পিনোচেটের সময়ে প্রণীত সংবিধান প্রতিস্থাপন করতে নতুন এ সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। রবিবার আংশিক ফলাফলে রক্ষণশীল বিরোধীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। এ পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে ৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে প্রত্যাখানের পক্ষে এবং বাকী ৩৮ শতাংশ নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বাধ্যতামূলক এ নির্বাচনে ভোটার ছিল দেড় কোটিরও বেশি। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে ১০ ঘন্টা ধরে। গত দুবছরের মধ্যে চিলির জনগণ সংবিধান নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গণভোটে অংশ নেয়। প্রথমে তারা সংবিধান নতুন করে লেখার পক্ষে রায় দেয়। পরে এ কাজের জন্যে প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেয়। এদিকে, ভোটের এ ফলাফলের পর রক্ষণশীল ইউডিআই পার্টির নেতা জাভিয়ার মাকায়া বলেন, এটি চিলির পুনর্গঠনের জন্যে একটি পরাজয়। চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় ছোট্ট শহরের বাসিন্দা আলফ্রেডো তোলোসা বলেন, এখানে প্রত্যাখ্যানের পক্ষে প্রায় সকলেই। তারা পরিবর্তনকে ভয় পাচ্ছে। কারণ, এই পরিবর্তনের ফলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন। এর ফলে, অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে। চিলির জনগণ ২০২০ সালের অক্টোবরে নতুন সংবিধান লেখার পক্ষে রায় দিয়েছিল। এর আগের বছর চিলিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ছিল সমাজের অসাম্য দূর করার লক্ষ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা। নতুন সংবিধানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পেনশন খাতে আরো বেশি সমতার দাবি জানানো হয়। তবে, প্রস্তাবিত নতুন সংবিধান নিয়ে প্রধান উদ্বেগের বিষয় দাঁড়ায় আদিবাসীদের প্রাধান্য দেয়ায়। দেশটির ১ কোটি ৯০ লাখ লোকের মধ্যে আদিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১৩ শতাংশ। এছাড়া, নতুন সংবিধানের মাধ্যমে দেশটির শাসন ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আসতো। সিনেটের ক্ষমতা হ্রাস পেতো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অন্তত অর্ধেক পদে নারী কর্মী নিয়োগ দিতে হতো। তবে, ফলাফল যাই হোক নতুন সংবিধানের সমর্থক বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন