শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অ্যান্টার্কটিকায় গলছে ‘কেয়ামতের হিমবাহ, মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৫৮ পিএম

পৃথিবীর তাপমাত্রা যতোই বাড়ছে, এর মেরুগুলির চারপাশের সমুদ্রের হিমবাহও ক্রমেই গলে যাচ্ছে। হিমবাহের এ দ্রুত পরিবর্তিত অবস্থার কারণে মহাসাগরগুলিতে পানির স্তরের অতিরিক্ত বৃদ্ধি বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে যে, অ্যান্টার্কটিকার ফ্লোরিডায় ৮০ মাইল প্রস্থের পৃথিবীর সবচেয়ে প্রশস্ত হিমবাহ থোয়েটস গ্লেসিয়ার তার আকার হারাচ্ছে এবং দ্রুত হারে গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, এর ফলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের স্তর ১০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে, যার কারণে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। একারণে থোয়েটস গ্লেসিয়ারকে ডাকা হচ্ছে ‘কেয়ামতের হিমবাহ’ নামে।

মাত্র এক বছর আগেই বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন যে, ক্ষয়ে যাওয়া থোয়েটসের শেষ বরফের তাকটিই এর একমাত্র বাঁধন, যা এটিকে সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া থেকে আরও কয়েক বছর আটকে রাখবে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হিমবাহটির নীচ দিয়ে সমুদ্রের উষ্ণ পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং এটিকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এর চূড়ান্ত পতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। সোমবার নেচার জিওসায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, ‘হিমবাহ যত বেশি পাতলা হতে থাকবে, আরেকটি ব্যাপক গলনে তত কম সময় লাগবে এবং হিমবাহের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে আগামী দশকগুলিতে এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বেড়েছে।’

গবেষণাটির সহ-লেখক এবং ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের সামুদ্রিক জিওফিজিসিস্ট রবার্ট লার্টার বলেছেন, ‘থোয়েটস সত্যিই আজকে তার নখের ওপর ভর করে আছে। আমাদের ভবিষ্যতে ছোট সময়কালে বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা করা উচিত।’ ২০২০ সালে প্রথম হিমবাহটির তলদেশে উষ্ণ পানির প্রবাহ আবিষ্কৃত হয়। তার এক বছর আগে, গবেষকরা এর নীচে প্রায় ম্যানহাটনের আকারের একটি বিশাল গহ্বরও আবিষ্কার করেন। গবেষণাটির প্রধান লেখক ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ফ্লোরিডার কলেজ অফ মেরিন সায়েন্সের অ্যালিস্টার গ্রাহাম বলেন, 'থেয়েটসে একটি ছোট ধাক্কা বড় প্রতিক্রিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’ সূত্র: সিবিএস নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন