মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় হিন্নামনরের তাণ্ডবের সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা জলোচ্ছ্বাসের সময় একটি আবাসিক ভবনের নীচে কার পার্কের ভেতর আটকা পড়ে ছিলেন।
জলোচ্ছ্বাস থেকে গাড়িগুলো বাঁচাতে আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্কে ছুটেছিলেন বেশ কজন, কিন্তু প্রবল তোড়ে বন্যার পানি সেখানে ঢুকে পড়লে আটকা পড়ে যান তারা। উদ্ধারকারীরা বলছেন প্লাবিত ঐ কারপার্ক থেকে তারা মাত্র দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। এই দুইজন পার্কিং লটের ছাদের সাথে পাইপ ধরে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঝুলে ছিলেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় হিন্নামনর দক্ষিণ কোরিয়ায় আঘাত হানে। এই বছর এখন পর্যন্ত আঘাত হানা ঝড়গুলোর মধ্যে এটিকেই সবচেয়ে শক্তিশালী বলে বলা হচ্ছে। মঙ্গলবার মাটির নীচের ঐ কারপার্কে উদ্ধারকারীরা কয়েক মিটার উঁচু কাদামাটি যুক্ত পানি ঠেলে সেখানে পৌঁছান। মাত্র দুজনকে জীবিত পান তারা।
যে নয়জন আটকা পড়েছিল তারা একই ভবনের বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ভবনের মালিকপক্ষ থেকে বলা হয় তারা যেন আন্ডারগ্রাউন্ডের কার পার্ক থেকে তাদের গাড়িগুলো সরিয়ে নেন। কিন্তু গাড়ি বাঁচাতে গিয়ে এই ট্রাজেডির শিকার হন সাতজন। যে দুজন প্রাণে বেঁচেছেন তাদের একজন পুরুষ, অন্যজন নারী। এই দুইজনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনাকে "বিপর্যয়" বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, "এই দুর্ঘটনার কথা জানার পর আমি রাতে ঘুমাতে পারিনি।"
দক্ষিণ কোরিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, গাছ ভেঙ্গে পড়েছে এবং অনেক ভবনের কাঁচের জানালা গুড়ো হয়ে গেছে। পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মত দক্ষিণ কোরিয়ায় গত কয়েক মাস ধরে যেমন তুমুল বৃষ্টিপাত হচ্ছে তেমনি রেকর্ড গরম পড়েছে। অগাস্টের প্রথম দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় রাজধানী সোলও প্লাবিত হয়। ঐ বন্যায় অন্তত আট জন মারা যায়। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন