সংযুক্ত আরব আমিরাতও তুরস্কের বহুল আলোচিত বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইউক্রেনসহ বিভিন্ন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই ড্রোন সংগ্রহ করার জন্য তুরস্কের সাথে দেশটি দীর্ঘ দিন ধরে আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ১২০টি বায়ারাক্তার টিবি২ ড্রোন ক্রয় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আর এই সম্ভাব্য ক্রয়চুক্তির পরিমাণ হতে পারে দুই বিলিয়ন ডলার। চুক্তিতে গোলাবারুদ, কমান্ড, কন্ট্রোল সেন্টার ও প্রশিক্ষণের বিষয়টিও থাকবে। খবরে বলা হয়, গত মার্চ থেকে ড্রোন কেনা নিয়ে তুরস্ক ও আমিরাতের মধ্যে আলোচনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধের পর আবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা শুরু হয়। গত নভেম্বরে আমিরাতি প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবঙ তারপর মধ্য ফেব্রুয়ারিতে রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের ফিরতি সফরের পর থেকে প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক জোরদার হয়। মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, ড্রোন চুক্তি সম্পন্ন হলে কিছু ড্রোন আমিরাতেও নির্মাণ করা হতে পারে। বায়াক্তার টিবি২ ড্রোন সবচেয়ে আধুনিক বিমানবিধ্বংসী সিস্টেম এবং আধুনিক আর্টিলারি সিস্টেমের জন্য খ্যাতিমান। সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, নাগার্নো-কারাবাখ ও ইউক্রেন যুদ্ধে এই ড্রোন খুবই ফলপ্রসূ বিবেচিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪টি দেশ তুরস্কের এই ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি করেছে। এই ড্রোনের চাহিদা এত বেশি যে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, চুক্তির পর ড্রোন পেতে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত চার শতাধিক টিবি২ ড্রোন নির্মাণ করেছে। তারা বর্তমানে বছরে ২০০ ড্রোন নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। তারা বছরে ৫০০ ড্রোন নির্মাণ করতে চাচ্ছে। অপরদিকে, ইসলামিক স্টেটের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের দাবি এরদোগানের। জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের দাবি করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েফ এরদোগান এক ঘোষণায় এ কথা জানান। এতে তিনি বলেন, ওই আইএস নেতার কোড নাম বাশার হাত্তাব গজল আল-সুমাইদাই। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে তুরস্ক থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বলকান দেশগুলোতে সফরে গিয়েছেন এরদোগান। সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এই খবর দেন তিনি। গত জুলাই মাসে তাকে নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এতে তাকে আইএস-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে তুরস্কের গণমাধ্যম বলছে, এই আল-সুমাইদাইর আসল নাম হচ্ছে আবু হাসান আল-হাশিমি আল-কুরাইশি। তিনি ইরাকি নাগরিক এবং সমগ্র ইসলামিক স্টেটের প্রধান এখন এই জিহাদি নেতা। যদিও এরদোগান এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলেননি। তিনি শুধু দাবি করেন, আইএস-এর একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাও জানাননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট। আল-জাজিরা, ডেইলি সাবাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন