উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর বৈঠকের ফাঁকেই সদস্য দেশগুলির মধ্যে চলবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। ভারত ঘোষণা না করলেও মস্কোর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। বর্তমান ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। প্রশ্ন উঠছে, ওই বৈঠকে কি আরও সস্তায় অশোধিত তেল আমদানি নিয়ে সক্রিয় হবে ভারত? নাকি জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়ার তেলের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয়ার রাস্তায় হাঁটবে?
বৃহস্পতিবার এসসিও বৈঠক নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ‘ভারত জি-৭-এর অংশ নয়। তারা তেলের দাম নিয়ে কী বলেছে, তার প্রকৃতি কী রকম হবে সেটা ওই গোষ্ঠীর দেশগুলিই ভাল বলতে পারবে।’ মস্কো থেকে তেল আমদানির প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন ভারতের কোনও সংস্থা বিদেশে গিয়ে ভারতের শক্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তেল কেনার চেষ্টা করে, তখন তারা বাজারের দিকে তাকিয়েই তা করে। একটি দেশের সরকার অন্য দেশ থেকে তেল কেনে না।’
কোয়াত্রার এই মন্তব্যে স্পষ্ট, আরও সস্তায় মস্কো থেকে তেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত থেকে নড়বে না ভারত। একই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার জন্য পুতিনকে অনুরোধও করবেন মোদী। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ফোনালাপের বাইরে এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক হবে মোদী ও পুতিনের।
যাত্রার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, “স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়ে মত বিনিময় করার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছি। এসসিও-র সম্প্রসারণ এবং সংগঠনের অভ্যন্তরীণ সহযোগিতাকে আরও বহুমুখী এবং গভীর করার প্রয়োজন রয়েছে। বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত অনেকগুলি সিদ্ধান্ত এ বার গৃহীত হওয়ার কথা।”
এ বিষয়ে কোয়াত্রার সংযোজন, “এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে ভারত এসসিও-র সঙ্গে কতটা গভীর ভাবে যুক্ত। মধ্য এশিয়া আমাদের সম্প্রসারিত প্রতিবেশী অঞ্চল। তাদের সঙ্গে সংযোগ পোক্ত করার জন্য আমরা সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তা আরও গতি পাবে।” সূত্র: টিাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন