চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা র্নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করা হতে পারে। সিঙ্গাপুর পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সংশোধিত সংবিধান নিশ্চিত করবে দেশ, সমাজ, রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে বিধি ও সংস্কারগুলো প্রেসিডেন্ট শি›র আদেশের সঙ্গে মিলিত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ অক্টোবর বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই কংগ্রেসে শি›কে দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বৈঠকেই শি›কে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে কংগ্রেসে দলটির নতুন শীর্ষ নেতৃবৃন্দে বেছে নেওয়া হবে। কমিউনিস্ট পার্টির ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পলিটব্যুরোর এই বৈঠক ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’। অপর এক খবরে বলা হয়, আমেরিকার দুই বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী কোম্পানি রেইথন ও বোয়িংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে তাতে অবদান রাখার জন্য এই দুই বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। শুক্রবার রাজধানী বেইজিংয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যতম মুখপাত্র মাও নিং এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, রেইথন টেকনোলজির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রেগোরি জে. হায়েস এবং বোয়িং ডিফেন্স, স্পেস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থিওডোর কোলবার্টের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। মার্কিন অস্ত্র নির্মাণকারী দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মূলত আমেরিকা নতুন করে তাইওয়ানকে যে ১০০ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে। গত বুধবার মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ নামে একটি বিল পাস হয়েছে। ওই বিলের আওতায় নতুন করে আমেরিকা তাইওয়ানকে এই অস্ত্র দেবে। এই বিল এখন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হবে, তারপর প্রেসিডেন্টের জন্য হোয়াইট হাউজে পাঠানো হবে। প্রেসিডেন্ট বিলে সই করলে তা আইনে পরিণত হবে। অন্যদিকে, চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড মনে করে এবং মার্কিন সরকারের এই অস্ত্র সরবরাহকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচনা করে। সিঙ্গাপুর পোস্ট, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন