বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অসাধারণ এক ‘প্রেম-কাহিনি’!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পিঠে বর্ম, মাথায় সামুরাই শিরোস্ত্রাণ। ধীরে পায়ে বেরিয়ে এল শপিংমল থেকে। মনিবের সান্ধ্য ভ্রমণের সঙ্গী হয়ে বেরিয়ে আসা। রাজপথে হাঁটা শুরু করলেন তারা। শুরু হল গল্প। আর তা দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায় জাপানের রাস্তায়।
পথচারী থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি পর্যটক এই অসাধারাণ ‘প্রেম-কাহিনি’তে মুগ্ধ। ইতোমধ্যেই পুরো ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর পোস্ট হতেই বন্যা বয়ে গেছে লাইক, শেয়ার আর কমেন্টের। মাত্র ১৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন।

জাপানের মিতানি হিসাও-র সঙ্গে তার পোষ্য বিশাল আকৃতির আফ্রিকান কচ্ছপের বন্ধুত্ব নিয়ে সরগরম নেট-দুনিয়া। আদর করে উভচর প্রাণীটির তিনি নাম রেখেছেন ‘বন-চান’। স্থানীয়দের দাবি, প্রায়ই নিজের পোষ্যকে নিয়ে রাজধানী টোকিও’র রাস্তায় হাঁটতে বের হন তিনি। দু’জনে মিলে কথা বলেন, গল্প করেন।
আর তখনই তা দেখতে ভিড় জমে যায় রাস্তায়। মিতানির পরিবার সূত্রে খবর, ‘বর্তমানে কচ্ছপটির বয়স প্রায় ২৫ বছর। খুব ছোট অবস্থায় এটিকে বাড়িতে এনেছিলেন মিতানির স্ত্রী। ওই সময় কচ্ছপটিকে হাতের তালুর মধ্যে নেওয়া যেত। ১০ বছর বয়সে হঠাৎই কচ্ছপটি আকারে অস্বাভাবিক রকম বড় হতে শুরু করে। বর্তমানে তার ওজন প্রায় ৭০ কেজি।’

কীভাবে এই উভচরের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল মিতানির? তার কথায়, ‘আমার কোনও সন্তান নেই। এই কচ্ছপটিকে যখন আমার স্ত্রী বাড়িতে এনেছিলেন, তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা বাঁধন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমি কচ্ছপটিকে সন্তান স্নেহে বড় করেছি। বন-চান আমার সন্তান। ওর জন্য আমি গর্ব বোধ করি।’
দিনে কমপক্ষে ৩ বার কচ্ছপটিকে নিয়ে তিনি হাঁটতে বের হন। মিতানির পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে থাকার ফলে কচ্ছপটিও তাদের সমস্ত কথা বুঝতে পারে। বছরের বিভিন্ন সময়, বিশেষত উৎসবের দিনগুলোতে বিশেষভাবে কচ্ছপটিকে সাজানো হয়। ওর গায়ের হলুদ রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক তৈরি করি আমরা। সেগুলো পরালে খুশিই থাকে বন-চান। সূত্র : ব্যাংকক পোস্ট, এনবিসি নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন