করোনা মহামারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে বলে দাবি করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি আর নেই।” রবিবার সংবাদমাধ্যম সিবিএসের একটি অনুষ্ঠানে এই কথা জানান বাইডেন। হাজারো দর্শকের সামনে মহামারি আবহ শেষ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বাইডেন বলেন, “করোনা নিয়ে আমাদের দেশে এখনও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আমরা বর্তমানে করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু মহামারি আর নেই। আপনারা যদি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন এখন আর কেউ মাস্ক পরেন না। সবাই বেশ ভাল আছে বলেই মনে হচ্ছে। এবং তাই আমি মনে করি যে করোনা পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে।” বাইডেন আরও দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেও তথ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও দেশটিতে প্রতিদিন বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, আমেরিকাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ জন করে মারা যাচ্ছেন। অপর এক কবরে বলা হয়, চীনের হামলার শিকার হলে তাইওয়ান ভূখণ্ডকে মার্কিন বাহিনী রক্ষা করবে বলে আবারো মন্তব্য করেছেন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়ে দেন বাইডেন। তাইওয়ান ইস্যুতে রোববার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাইওয়ানকে মার্কিন বাহিনী রক্ষা করবে? জবাবে বাইডেন বলেন ‘হ্যাঁ’। হোয়াইট হাউজ তার নীতি থেকে সরেনি। খবর বিবিসির। পূর্ব চীনের উপকূলে অবস্থিত স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান যা বেইজিং নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। যদিও নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে তাইওয়ান। দ্বীপটি নিয়ে চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ওয়াশিংটনের। সিবিএস নিউজের ‘৬০ মিনিটস’ সাক্ষাৎকারে বাইডেন পুনর্ব্যক্ত করেন, আমরা ‘এক-চীন’ নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাইওয়ান তাদের স্বাধীনতার বিষয়ে নিজস্ব রায় দিতে পারে। আমরা তাদের স্বাধীন হতে উৎসাহিত করছি না- এটি তাদের সিদ্ধান্ত। গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তাইওয়ান আক্রমণ হলে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতি থেকে কোনো প্রস্থান হবে না। চলতি মাসের শুরুতে তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যেই বাইডেন প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে আছে ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’। আছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ৬০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, যা যেকোনো জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম। যদিও এসব অস্ত্র তাইওয়ানের কাছে বিক্রি করতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি লাগবে। যদিও এ নিয়ে চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানায়, এটা বাতিল করা না হলে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে পাল্টাব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, এনবিসিনিউজ, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন