বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এ বছর আজ সোমবার সারাদেশে পালিত হবে বিশ্ব শিশু দিবস। একই সাথে শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং শিশুর উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে ৪ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উদযাপন করা হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছরের মতো এ বছরও দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিশ্ব শিশু দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য- ‘গড়বে শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ’। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। তারাই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। জ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সকলের জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতা ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ১৫ বছর পূর্বে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শিশু আইন প্রণয়ন করেন। সদ্য স্বাধীন দেশে শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা ও উন্নয়নে কল্যাণকর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আইন, নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ইউনিসেফ, দেশি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক সভা, সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আরো আছে শিশুদের উন্নয়ন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ে ক্যাম্পেইন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আলোচনা এবং মতবিনিময় সভায় শিশুসংগঠক, শিশু বিশেষজ্ঞ, শিশু সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এসকল অনুষ্ঠান সরাসরি ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব শিশু দিবসের অনুষ্ঠান ও টকশো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হবে। বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ এবং আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া পোস্টার, পিভিসি ও ফেস্টুন-ব্যানার স্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভবন ও ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কদ্বীপ সজ্জিত করা হবে। দেশের সকল জেলা এবং উপজেলায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন