গতকাল (রোববার) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায় যে, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেদেশে মৌসুমি বৃষ্টি ও বন্যায় প্রায় ১৬৯৫জন নিহত হয়েছে এবং আরও ১২,৮৬৫ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে অঞ্চলে ৭৫৯জন মারা গেছে। এরপর দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়াতে যথাক্রমে ৩৩৬জন এবং ৩০৭জন মারা গেছে।
প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছ শত শত বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবন। পানি নেমে যেতে শুরু করায় বন্যার ক্ষত স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার পাশাপাশি খাদ্যসংকট নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশটিতে এবারের বন্যার ফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।
পাকিস্তানে এবারের বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখের ওপর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখই শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭০ লাখের ওপর মানুষ। প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। দেশটির জনসাধারণ যখন জলবায়ু পরিবর্তন ও রেকর্ড পরিমাণ মূল্যস্ফীতির মতো কঠিন সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল তখনই এই দুর্যোগ সেখানে আঘাত হানল। বন্যাায় দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সম্প্রতি পাকিস্তান সফরের পর পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো চিত্রই বিপর্যয়ের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য যথেষ্ট নয়’। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের দেশ পর্তুগালের সমপরিমাণ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ। সেখানে বেশির ভাগ এলাকা দেশের বাদবাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন