বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে মস্কো বলছে, রাশিয়াকে বাদ দিয়ে এ ধরনের তদন্ত অকল্পনীয়। গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, নর্ড স্ট্রিম ১ এবং নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনে ফাটল নিয়ে তদন্ত রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই এগোবে; এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাইপলাইনে গ্যাস লিকের ঘটনা তদন্তে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তারা তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে রাশিয়া এবং রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমকে বাদ দেওয়ার কথা বলছে। দৃশ্যত, তাদের কিছু লুকানোর রয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২ পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। পরে লাইনে চারটি লিক পাওয়ার কথা জানায় ডেনমার্ক ও সুইডেন। জানা গেছে, গ্যাসের চাপ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে অবশ্য পাইপলাইনের জটিলতা কাটতে শুরু করে। পাইপলাইনে লিকের খবর পাওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলোর তরফে বলা হয়েছিল, তাদের বিশ্বাস পাইপলাইনের এই ঘটনা ঘটেছে নাশকতার কারণে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দায়ী করেছিলেন। তিনি বলেন, তারা শুধু নিষেধাজ্ঞাতেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং নাশকতার দিকেও অগ্রসর হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের ক্ষয়ক্ষতি হলে এ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাইপলাইন ধ্বংস হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে কিনা? উত্তরে ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘নিঃসন্দেহে’। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারীদের ইউরোপে এলএনজি সরবরাহের বহু গুণ বৃদ্ধি উদযাপন করা উচিত।’ পাইপলাইনে লিকের ঘটনায় উভয় পক্ষের পরস্পরকে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পর রাশিয়াকে বাদ রেখেই এ বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেয় পশ্চিমারা। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয় মস্কো। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন