গুঞ্জন উঠেছে চীনের শাওমি ভারতে ব্যবসা গুটিয়ে পাকিস্তানে ব্যবসা খুঁজছে। একাধিক টুইটে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছিল ভারত ছেড়ে ব্যবসা নিয়ে পাকিস্তান যেতে পারে শাওমি। খবর রটেছিল ভারতে তদন্ত সংস্থার ভয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এই গুঞ্জনের উত্তর দিলো শাওমি।
এই ধরনের গুজব অস্বীকার করে টুইট বার্তা পোস্ট করেছে শাওমি। সম্প্রতি ভারতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এই চীনা প্রতিষ্ঠানের ৫৫৫১.২৭ কোটি রুপি ফ্রিজ করেছিল। বিদেশে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পরেই শাওমির ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাওয়ার জল্পনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
সাউথ এশিয়া ইনডেস্কের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফ্রিজ করার কারণে ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে পাকিস্তান চলে যেতে পারে শাওমি।
যদিও এই খবর সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে শাওমি। সাউথ এশিয়া ইনডেস্কের টুইটের উত্তরে শাওমি জানিয়েছে, ‘২০১৪ সালে ভারতে ব্যবসা শুরু করে শাওমি। এক বছরের মধ্যে ভারতে ফোন উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এই মুহূর্তে ভারতে বিক্রি হওয়া ৯৯ শতাংশ স্মার্টফোন ও ১০০ শতাংশ টিভি ভারতে তৈরি। আমরা মিথ্যা এবং ভুল দাবি থেকে কোম্পানির সুনাম রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেব।’
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ভারতে শাওমির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছিল শাওমি। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই আদালতে গিয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফইএমএ-এর নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং ভারতের বাইরে তিনটি কোম্পানিকে রয়েলিটির ছদ্মবেশে টাকা পাঠানোর অভিযোগে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল।
চীনা মোবাইল ফোন নির্মাতা সংস্থাটি আপিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে যে শুনানির সময় একটি বিদেশি ব্যাংকের প্রতিনিধিকে পরীক্ষা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার শাওমি ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, যেখানে এফইএমএ কর্তৃপক্ষের ২৯ সেপ্টেম্বরের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে, যা ২৯ শে এপ্রিল ইডির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ নিশ্চিত করেছিল।
উচ্চ আদালত এই বছরের শুরুতে মোবাইল নির্মাতাকে তার দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য অর্থ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু রয়েলিটির পরিশোধের জন্য এই অর্থ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন