তথ্য-প্রযুক্তি খাতে চাকরির লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ১৩০ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সরকার গতকাল শুক্রবার জানায়, এসব কর্মী অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়া গিয়েছিলেন। খবর এপি। ভুক্তভোগীদের থাইল্যান্ডে নেয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল বলে জানান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেন, ডিজিটাল স্ক্যামিং ও জাল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে জড়িত কোম্পানি এর পেছনে থাকতে পারে। তারা বন্দী ভারতীয় কর্মীদের সাইবার জালিয়াতি করতে বাধ্য করেছিল। তিনি আরো জানান, দুবাই, ব্যাংকক ও ভারতের কয়েকটি শহরে এজেন্টদের মাধ্যমে কাজ করছে প্রতারক প্রতিষ্ঠান। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় থাইল্যান্ডে লোভনীয় চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে সম্ভাব্য কর্মীদের আকৃষ্ট করে থাকে। বাগচি বলেন, অনেককে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করিয়ে মিয়ানমারে নেয়া হয়েছে। এমন এলাকাও আছে যেখানে স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে প্রবেশ করা কঠিন। প্রায় ৫০ জনকে মিয়ানমার থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হলেও আরো কিছু শ্রমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশটির পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তারা ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করেছিল। এছাড়া কম্বোডিয়া ও লাওস থেকে বাকি ৮০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক চিঠিতে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানান, ৫০ জন তামিলসহ ৩০০ ভারতীয়কে মিয়ানমারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। শুধু ভারত নয়, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও একই ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা এপি ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়া ও লাওস থেকে মালয়েশিয়ার ২১ নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দীন আব্দুল্লাহ জানান, কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে নিখোঁজ তার দেশের ৪০১ জন নাগরিকের মধ্যে ২৭৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডিটেনশন সেন্টারে থাকা ৬০ জন ছাড়া বাকিরা দেশে ফিরেছে। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন