ঘটনাটি ভারতের কেরালার। সেখানে বিয়ে ছাড়াই এক দশক বিবাহিত এক পুরুষের সঙ্গে লিভ-টুগেদার সম্পর্ক করেছেন এক তরুণী। পরবর্তীতে সেই তরুণীর করা ধর্ষণ মামলার রায় দিয়েছেন কেরালার উচ্চ আদালত। এটাকে প্রেম এবং আবেগের সম্পর্ক বলা যেতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহারকে অপরাধ বলা যায়। কিন্তু দুজনের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণকে প্রতিষ্ঠিত করে না। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১০ সালে শ্রীকান্ত শশীধরন নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় কেরালার এক তরুণীর।
শ্রীকান্ত শশীধরন নামে এক যুবকের সঙ্গে কেরলের এক তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয় ২০১০ সালে। ২০১৩ সালে ওই তরুণী জানতে পারেন প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ে করেছেন ওই যুবক। বিয়ের কথা জেনেও ওই সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাননি তরুণী।
২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল তাদের সেই সম্পর্ক। পরে প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন ওই তরুণী। তার দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন শ্রীকান্ত।
তবে তরুণীর এই দাবি অস্বীকার করে উচ্চ আদালতে যান শ্রীকান্ত । তিনি জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে ভালোবাসা এবং শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন