ভোটকেন্দ্রের বাইরে সতর্ক নিরাপত্তারক্ষী দল, বুলেট-প্রুফ কাচে ঘেরা কক্ষ; মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে এভাবেই কড়া নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী কর্মকর্তারা। আগামী ৮ নভেম্বরে হবে এই মধ্যবর্তী নির্বাচন। সেদিন কলোরাডোর জেফারসন কাউন্টির ভোটাররা যখন ভোট দিতে যাবেন তখন তারা দেখতে পাবেন ব্যস্ত ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে নিরাপত্তা রক্ষীরা সতর্ক পাহারায় রয়েছেন। অ্যারিজোনার ফ্ল্যাগস্টাফের একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা জানান, সেখানে ভোটারদের বুলেট প্রুফ কাঁচের দরজা পেরিয়ে যেতে হবে এবং ভেতরে ঢুকতে হলে আগে একটি ঘণ্টা বাজাতে হবে। ফ্লোরিডার টালাহাসে যে ভবনে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট গণনা করবেন সেটার দেয়াল নতুন করে অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী ফাইবার ‘কেভলার’ দিয়ে বানানো হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, অন্যদের হুমকি ও ভীতিকর আচরণের ভয়ে বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রমকে আরো বেশি নিরাপদ করার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রয়টার্স এ নিয়ে জরিপ চালিয়ে দেখেছে, তারা এমন ৩০ জন নির্বাচনী কর্মকর্তাকে পেয়েছেন তাদের অন্তত ১৫ জন নানাভাবে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। কেউ কেউ ‘প্যানিক বাটন’ লাগিয়েছেন। কেউ বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী ভাড়া করেছেন। সারাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছেন। যাতে তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। বিশৃংখল পরিস্থিতিতে উত্তেজনা কমাতে এবং বন্দুকের নল এড়িয়ে যেতে অনেকে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। কিন্তু নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি অর্থ প্রয়োজন। ১২ রাজ্যের নির্বাচনী কর্মকর্তারা নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি অর্থ চেয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছেন না বলেও জানান তারা। ইলিনয়ের শ্যাম্পেইন কাউন্টির ক্লার্ক অ্যারন অ্যামনস তার অফিসে মেটাল ডিটেক্টর লাগাতে চান। তার অফিসে আসা দর্শণার্থীরা স্টাফ এবং অফিসের ছবি তোলেন। তার কাছে যেটা হুমকি বলে মনে হয়। বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয় আমরা টার্গেটে পরিণত হয়েছি বা যারা ইউনিফর্ম পরে কাজ করছেন তাদের মত করে আমাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। এবং ঠিক তাদের মত আমরাও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একদম সামনের সারিতে আছি।” অ্যামনস গত অগাস্টে কংগ্রেসের সামনে বলেছিলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে তিনি এবং তার স্ত্রী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে তাদের মেয়েদের জীবন নিয়ে হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তারা এক হাজারের বেশি হুমকিমূলক বার্তা পাওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন। যেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন