সুইজারল্যান্ডে ব্যাপকহারে ব্যাঙ ও এই জাতীয়ক্ষুদ্র প্রাণী কমে যাচ্ছিল। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত ছিলেন। শেষমেশ এমন এক উদ্যোগ তারা নিয়েছেন, যার বদৌলতে দেশটির একটি অঞ্চলের অর্ধেকেরও বেশি বিপন্ন ব্যাঙ এবং এ ধরনের প্রাণীর সংখ্যা কমে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। ব্যবস্থাটি আর কিছুই নয়, স্রেফ নতুন পুকুর খনন করা। সংরক্ষণকর্মীরা আরগাউ ক্যান্টনে শত শত নতুন পুকুর খনন করার পর ব্যাঙ ও এ জাতীয় উভচর প্রাণীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় গেছো ব্যাঙের সংখ্যা বেশুমার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সংশ্লিষ্ট গবেষকরা আশা করছেন, এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী অনুসরণ করা যেতে পারে, কারণ পুকুর নির্মাণ সহজ এবং কার্যকর। আবাসস্থল হ্রাস, নগরায়ণ, রাস্তাজাতীয় অবকাঠামো নির্মাণ, রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব এবং আক্রমণাত্মক প্রজাতির বিস্তারসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বব্যাপী উভচর প্রাণীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৯৯ সালে আরগাউ ক্যান্টন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত আসে যে উভচর প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস ঠেকাতে গণসংরক্ষণ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। ইউরোপীয় গেছো ব্যাঙের পতন তাঁদের বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তখন থেকে ২০ বছর ধরে সরকারি কর্তৃপক্ষ, এনজিও, ব্যক্তিগত জমির মালিক এবং শত শত স্বেচ্ছাসেবক মিলে আরগাউয়ের পাঁচটি অঞ্চলে ৪২২টি পুকুর খুঁড়েছেন। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন