রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৫৬ পিএম

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি। -আনাদুলো, আল জাজিরা, টিআরটি

কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় শুরু হয়েছে এশীয় এবং ইউরেশীয় দেশগুলোর জোট কনফারেন্স অন ইন্টার‌্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) সম্মেলন। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই সম্মেলন এবং এতে যোগ দিতে এই দিনই মস্কো থেকে আস্তানায় পৌঁছেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। সিআইসিএর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের বিশ্বস্ত মিত্র বলে পরিচিত এরদোয়ানও তখন সেখানে ছিলেন। আস্তানায় পৌঁছানোর পর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় পুতিন-এরদোয়ানের। বৈঠক শেষে সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ‘আমরা মনে করি, (চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে) মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও এখনও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অবকাশ রয়ে গেছে। আমরা এই পথ ধরেই এগোতে চাই এবং যতদ্রুত সম্ভব রক্তপাত বন্ধ করতে চাই।’

২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া খোয়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির শুরু করেছিল ইউক্রেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলার পর চলতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ বাঁধার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীন, ভারতসহ আরও কিছু রাজ্য সরাসরি যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান না নিলেও জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।

তবে এক্ষেত্রে তুরস্কের অবস্থান ছিল স্বতন্ত্র। ন্যাটোর একমাত্র এশীয় সদস্যরাষ্ট্র তুরস্ক একই সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ঘনিষ্ট মিত্র হিসেবে বরাবরই কূটনৈতিক পন্থায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার মতপার্থক্য কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিল। এমনকি দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপের অন্যতম আয়োজক দেশও ছিল তুরস্ক। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বিভিন্ন গুদামে আটকা পড়েছিল আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের দামও বাড়ছিল হু হু করে। মূলত তুরস্ক ও জাতিসংঘের যৌথ প্রচেষ্টায় গত জুলাই মাসে ইউক্রেনের গুদামে আটকে থাকা শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাশিয়া।

তবে ইউক্রেনের আটকে থাকা শস্যের আশি শতাংশেরও বেশি গেছে ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুতিন একাধিকবার বলেছেন, মস্কো আশা করেছিল—এশিয়া ও আফ্রিকায় দরিদ্র দেশগুলোও পাবে এই শস্যের হিস্যা। বুধবারের বক্তব্যে এরদোগান বলেন, শান্তি স্থাপনের জন্যই কূটনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি শুধু বলতে চাই, এই যুদ্ধে আসলে শেষপর্যন্ত কেউই বিজয়ী হবে না এবং যদি শান্তি স্থাপন হয়— তাহলে কেউই পরাজিত হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন