বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

১৪১ গরু-মহিষ দিচ্ছে ৫শ’ লিটার দুধ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০১ এএম

১৪১টি গরু-মহিষ আটক করে থানায় রেখেছে পুলিশ। সে সব গরু-মহিষের অনেকগুলোই দুধ দেয়। দুধ না দোহন করলে প্রাণীগুলো অস্থির হয়ে উঠছে। বাধ্য হয়েই সিভিক কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন দুধ দোহনের কাজে নামে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার হুড়া থানায় ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর পাশের বাসিন্দাদের সেসব দুধ দিয়ে দেওয়া হয়। তা দিয়ে কারো দোকানে বিক্রি হয় মালাই চা। কারো বাড়িতে অসময়ে পাতে পড়ে পায়েস। কেউ আবার তৈরি করে খোয়া-ক্ষীর। অনেকেই দুধ জ্বাল দিয়ে আয়েস করে খায়। ২৩টি পিকআপে করে মহিষ ও গরু আটক করার পর থেকে কার্যত খামারে পরিণত হয় ওই থানা। প্রতিদিন সকালে বোতল, জ্যারিকেন ভর্তি মহিষ-গরুর দুধ পেয়ে বাসিন্দারা আহ্লাদে আটখানা। তবে নাভিশ্বাস ওঠে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুধ না দোহন করলে পশুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। ভোর থেকেই কিছু সিভিক কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন তাই দুধ দোহন করেছেন। পুলিশ কর্মীদের দাবি, দৈনিক ৪০০-৫০০ লিটার দুধ মিলেছে। তা জনগণের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা অনেকে বোতল, জ্যারিকেন, বালতি এনে দুধ ভরে নিয়ে গেছেন। বিহার থেকে মহিষ ও গরুগুলোকে ডানকুনি এলাকার খাটালে নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবহনের নথি দেখাতে না পারায় ভারতের দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু এনিমেলস অ্যাক্ট ১৯৬০-সহ বেশ কিছু ধারায় চালক ও খালাসিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে হুড়া থানা চত্বরে দড়িতে বাঁধা এক পাল মহিষ ও গরু। তাগড়া চেহারার গবাদি পশুদের সামাল দিতে থানার কর্মী ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দার হিমশিম দশা। তবে থানা থেকে দুধ বিলির খবরে খুশি আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। হুড়ার পাশাপাশি জবজবিগড়া, কেন্দবনা, লালপুরের কিছু মানুষও রোজ সকালে পাত্র নিয়ে হাজির হয়ে যায়। স্থানীয় রাধাকান্ত খাঁ বলেন, ভালো মানের দুধ। তাই চাঁচি (ক্ষীর বা খোয়া) তৈরি করে সবাই খাচ্ছি। এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন