শুরু হলো চীনের বৃহত্তম আমদানি-রফতানি মেলা। ক্যান্টন ফেয়ার নামে পরিচিত এ মেলায় এ বছর শুধু চীন থেকেই অংশ নিচ্ছে ৩৪ হাজার ৭৪৪টি কোম্পানি। প্রদর্শন করা হবে আরও ৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৪১৬টি কোম্পানির পণ্যও। ক্যান্টন ফেয়ার সাধারণত প্রতি বছর দুবার অনুষ্ঠিত হয়- এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে। চীনের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংঝুতে বসে ব্যবসায়ীদের বিশাল এই মিলনমেলা। শনিবার অনলাইনে উদ্বোধন হয়েছে ক্যান্টন ফেয়ারের ১৩২তম আসর। করোনাভাইরাসের কারণে গত এপ্রিলের মেলাও অনলাইনে অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জু বিং গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা প্রদর্শকদের জন্য আবেদনের সুযোগ উন্মুক্ত করেছি। যোগ্য কোম্পানিগুলোকেই বাণিজ্য মেলার অনলাইন প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এ বছর মেলায় অংশগ্রহণকারী স্থানীয় কোম্পানির সংখ্যা গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ক্যান্টন ফেয়ারে এত সংখ্যক স্থানীয় কোম্পানির অংশগ্রহণ আগে কখনোই দেখা যায়নি। বৈদেশিক বাণিজ্যের ব্যারোমিটার বলে পরিচিত মেলাটিতে এ বছর ১৬ ক্যাটাগরির পণ্যের জন্য ৫০টি প্রদর্শনী বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। জু বলেছেন, মেলায় ২ হাজার ৯৪টি ব্র্যান্ড এবং ৩ হাজার ৭০০টিরও বেশি হাইটেক ও খ্যাতনামা কোম্পানি অনলাইনে তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। প্রদর্শনী চলবে আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের সমীক্ষা অনুসারে, কাঁচামাল ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের মতো চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এ বছর বৈদেশিক বাণিজ্যের ঊর্ধ্বগতি বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্যান্টন ফেয়ার চায়না ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ১৯৫৭ সাল থেকে আয়োজিত হয়ে আসছে ক্যান্টন ফেয়ার। বর্তমানে এটি চীনের বৃহত্তম মেলায় রূপ নিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ এই মেলা দেখতে যান। প্রতিটি ক্যান্টন ফেয়ারে ন্যূনতম ১ লাখ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য কেনাবেচা হয়। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। গত বছরের মেলায় মোট ৩১ হাজার কোম্পানি অংশ নিয়েছিল। এর প্রতিটি আসরেই দশনার্থী ছিলেন অন্তত ১ লাখ ৯০ হাজার। মেলার ভেন্যুর আকার বিশাল হওয়ায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারেন। চায়না ডেইলি, পিআর নিউজওয়্যার, সিজিটিএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন