‘এ সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দু’দেশের মধ্যকার সীমানা নির্ধারণকারী লুগন নদীর পানি উপচে এক লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং ৭০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে’ বলে জানিয়েছেন ক্যামেরুন ও শাদের কর্মকর্তারা। ক্যামেরুনের কর্মকর্তারা আরো জানায়, তারা বন্যাদুর্গতদের জন্য যে সহায়তা নিয়ে এসেছেন তা যথেষ্ট নয় আরো সাহায্যের প্রয়োজন। শাদের সাথে ক্যামেরুনের সীমান্তের কাছে গুইজি গ্রামের কৃষক তাণ্ডেমবে নোহ বলেন, তার স্ত্রী ও তিন সন্তান এক সপ্তাহ ধরে ক্ষুধার্ত। প্রবল বন্যায় তাদের পারিবারিক খাবারের দোকানের থেকে বাজরা, ভুট্টা এবং ১৩টি ছাগল ভেসে গেছে। ক্যামেরুনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিআরটিভির নেয়া এক সাক্ষাৎকার নোয়াহ বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে অনেক মানুষ নিরাপদে থাকার আশায় পাশের গ্রামগুলোতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি গুইজিতে থাকতে ও এখানেই মরতে পছন্দ করেন। যেখানে তার ও তার পূর্বপুরুষরা জন্মগ্রহণ করেন। ক্যামেরুনের সরকার বলছে, শাদের সীমান্তের লগন নদী ও মাগা হ্রদের পানির কারণে যে ৪৩ হাজার মানুষ হুমকির মুখে পড়েছেন নোয়াহ হচ্ছে তাদের একজন। সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, এই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দু’টি দেশের নদীর পানিই তীরে উপচে পড়েছে এবং বাড়িঘর, ফসল ও প্রাণিকে ভাসিয়ে দিয়েছে। সরকার বলছে, বন্যায় অন্তত ১২ জন মারা গেছেন এবং পানির কারণে কয়েক শত হেক্টর ধানের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ক্যামেরুনের আঞ্চলিক প্রশাসন মন্ত্রী পল আতাঙ্গা এনজি বলেন, প্রেসিডেন্ট ৪৩ হাজার বন্যাদুর্গতকে খাদ্য ও কম্বল সরবরাহের জন্য একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে তাকে পাঠায়। তবে কিছু বেসামরিক নাগরিক বলেন, সরকার তাদের বাড়িগুলো পুননির্মাণে সহায়তা করুক। এনজি বন্যাদুর্গতদের দুর্দশার কথা বিয়াকে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওদিকে, চাদের সরকারি প্রচার মাধ্যম টেলি টিশাদ বৃহস্পতিবার জানায়, এই সপ্তাহে চাদের রাজধানী এন’ডিজামেনায় লুগন নদীর পানি কারণের ৬০ হাজারেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এতে বলা হয়, হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং তাদের খাদ্য ও মানবিক সরবরাহের অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। ক্যামেরুন এবং শাদ উভয় দেশই অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বন্যার জন্য আবহাওয়া পরিবর্তনকে দায়ী করেছে। ভয়েস অব আমেরিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন