আজ ১৭ অক্টোবর, জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস’। জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছরই সারা বিশ্বে এই দিনে দিবসটি পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও মানুষের অসমতা দূর করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। দিবসটি আমাদের দেশেও গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়- ‘অভ্যাসে সবার জন্য মর্যাদা’
১৯৯৫ সালকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ বর্ষ ঘোষণা করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পর্যবেক্ষণে দেশে দেশে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা বিশেষ গুরুত্ব পায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ৯০ দশকের উন্নয়নে দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণ প্রাধান্য লাভ করে। এ বিবেচনায় দারিদ্র্য ও বঞ্চনা দূরীকরণের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে এক্ষেত্রে কতিপয় এনজিওর উদ্যোগকে ১৯৯২ সালের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অভিনন্দন জানানো হয়।
বিশেষ করে ফ্রান্সভিত্তিক এনজিও এটিডি ফোর্থ ওয়ার্ল্ডসহ তাদের অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ আন্দোলনের সফলতায় ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালনের কথা পর্যালোচনা করা হয়। এ আলোকে সাধারণ পরিষদও উল্লিখিত সভায় ১৭ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস ঘোষণা করে।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালন হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ মনে করে দারিদ্র্য মানবাধিকারের জন্য বাধা। দারিদ্র্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে পরিবেশ সংরক্ষণে। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণে নির্ধারণ করা প্রয়োজন কম মেয়াদি কৌশল। উন্নয়ন, টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়গুলোকে সমাধান করতে হবে সমন্বিতভাবে। এ কৌশলের লক্ষ্য হবে টেকসই জীবনযাত্রার জন্য সবাইকে সহায়তা প্রদান, আয় বৃদ্ধি, সম্পদের স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ ও এনজিও এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করে মানবসম্পদ উন্নয়নের নীতি গ্রহণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন