ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরমধ্যে মার্কিন ডলার অন্য মুদ্রার তুলনায় আরও শক্তিশালী হওয়ায় এই লড়াই দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। কীভাবে শক্তিশালী ডলারের কারণ সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০০০ সালের পর এখন সব থেকে শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে ডলার। ডলারের বিপরীতে জাপানের ইয়েনের দাম কমেছে ২২ শতাংশ এবং ইউরোর দাম কমেছে ১৩ শতাংশ। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ডলারের এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠার সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যাপক প্রভাব রয়েছে প্রায় সকল দেশের উপর। আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও বাণিজ্যে ডলার এখন একতরফা শাসন করছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, ডলার শক্তিশালী হওয়ায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ঋণ সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগেই ডলারের মান বৃদ্ধির কারণে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য মুদ্রার দরপতনের ব্যাপারটি অনুমান করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন দেখা যাচ্ছে, একদিকে যখন ডলারের দর বাড়ছে, অন্যদিকে তখন কমছে ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, পাউন্ড, ইয়েনসহ মার্কিন মুদ্রার প্রতিযোগী অন্যান্য তারল্যের দাম। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ডলারের এই টানা দামবৃদ্ধির কারণে অন্যান্য মুদ্রার মানের পতনের ফলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে বৈশ্বিক মন্দা আরও ত্বরান্বিত হবে সেই আশঙ্কাও রয়েছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন