সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের দুই নম্বর রেলওয়ে ঘুমটি থেকে দক্ষিণ বানিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রেললাইনের ওপর এবং উভয় পাশে ফের অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেললাইনের উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও আবারও সেসব গড়ে উঠছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, রেলওয়ে শহর সৈয়দপুর থেকে রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর রাজশাহী ও খুলনাগামী আন্তঃনগর ও লোকাল মিলে পাঁচটি ট্রেন ১০ বার চলাচল করে। এছাড়া দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা এখানে অবস্থিত। আর তাই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মেরামতের জন্য রেলওয়ে র্যাক (ওয়াগন) ওই রেললাইন দিয়ে সৈয়দপুর প্রায় প্রতিদিন রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে আসা এবং মেরামতের পর তা আবার নিয়ে যাওয়া হয়। রেলওয়ের আইন অনুযায়ী রেললাইনের উভয় পাশে ২০ ফুট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। ফলে রেলপথ বিপজ্জনক ও সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে বিবেচিত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাণিজ্যিক প্রধান সৈয়দপুর শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের দুই নম্বর রেল ঘুমটি থেকে দক্ষিণ বানিয়াপাড়া পর্যন্ত রেললাইনের ওপর ও উভয় পাশে অসংখ্য পুরোনো কাপড়ের দোকানসহ কাঁচা-পাকা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। রেললাইন ঘেঁষে উল্লেখিত দোকানপাট গড়ে ওঠায় ক্রেতাসাধারণ মূলত রেললাইন ব্যবহার করে এসে এসব দোকানগুলোতে কেনাকাটার কাজ করছে। এছাড়াও রেললাইনের ওপর কিছু ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা বসে প্রতিদিন। তারা রেললাইনের উপর বসে বেচা-বিক্রির কাজ করছে। আর এতে করে সারাক্ষণ রেললাইনের উপর মানুষের সরব উপস্থিতি থাকছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন