রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ধুঁকছে ইউরোপের দেশগুলো। এরমধ্যে জার্মানির অবস্থা বেশ শোচনীয়। দেশটির জ্বালানির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জ্বালানির দাম বাড়ায় অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশ ছুঁয়েছে। এতে করে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে সঙ্কটে পড়েছে দেশটির নিম্ন মধ্যবিত্ত নাগরিকরা। এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে। ইনস্টিটিউট অফ জার্মান ইকোনমির হিসেবে, আয় কর ও চিকিৎসা বিমার প্রিমিয়াম দেয়ার পর কারও যদি মাসে ১,৭০০ থেকে ৩,১০০ ইউরো আয় হয় তাহলে তাকে মধ্যবিত্ত বলা যায়। আর দুই সন্তানসহ চারজনের পরিবারের মাসিক আয় ৩,৫৪০ থেকে ৬,৬৪০ ইউরো হলে তারা মধ্যবিত্ত বলে গণ্য হতেন। এই হিসেব অনুযায়ী, জার্মানির প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত। এই মানুষেরা মধ্যবিত্ত শ্রেণির একেবারে শুরুর দিকে আছেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি সঙ্কট তাদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। ঋণদাতা ও দেউলিয়াত্ব নিয়ে পরামর্শ দেয়া কোম্পানি ‘ডিয়াকোনিশেস ভ্যার্ক’ ও ‘জার্মান প্যারিটি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অফ নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া’ও সেরকম আভাস দিয়েছে। তারা দেখেছে যে, মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আর পেরে ওঠা যাবে না বলে মনে করছে অনেক মানুষ। ওই দুই সংস্থা জানাচ্ছে, সরকারি বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ব্যক্তিরা সামাজিক সঙ্কটের উপর প্রশিক্ষণ নেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা হতাশাগ্রস্ত ও আতঙ্কিত মানুষকে পরামর্শ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে চান। জনগণের উপর থেকে মূল্যস্ফীতির বোঝা কমাতে জার্মানি সাড়ে ছয় হাজার কোটি ইউরো খরচ করবে বলে গতমাসে জানিয়েছে। শীত মৌসুমে এই অর্থ ব্যয়ের ঘোষণা দিয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এই অর্থ দিয়ে স্বল্প খরচে গণরিবহণে ভ্রমণ এবং জ্বালানি সরবরাহ কোম্পানিগুলো যেন ক্রেতাদের কম খরচে তেল, গ্যাস ও কয়লা সরবরাহ করতে পারে সেজন্য কর ছাড় দেয়া হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলতি বছর আরো দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল সরকার। ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন