২০২৪-এ নির্বাচনে কি ফের ট্রাম্প বনাম বাইডেন? প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিতেই এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। শনিবার রাতে টেক্সাসে বিরাট দলীয় সমাবেশে ভাষণ দেন রিপাবলিকান এই নেতা। সেখানে ট্রাম্প বলেন, “আমি দু’বার দৌড়েছি। দু’বার জিতেছি। আগের বারের চেয়ে দ্বিতীয়বার আরও ভাল করেছি। ২০১৬ থেকে ২০২০-তে অনেক বেশি ভোট পেয়েছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের যে ক’জন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তাঁদের থেকে বেশি ভোট পেয়েছি। আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখতে এবং দেশের উন্নতির জন্য ফের প্রেসিডেন্ট হব।”
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছের কথা শোনা গিয়েছিল জো বাইডেনের গলায়। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাননি তিনি। অন্যদিকে, ক্যাপিটল হিল হিংসা মামলায় শুক্রবার অর্থাৎ ২১ অক্টোবর ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাউস সিলেক্ট কমিটি। সেই নির্দেশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পালটা হুঙ্কার শোনা গেল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলায়। চলতি বছরের নভেম্বরেই মার্কিন কংগ্রেসের বিভিন্ন আসনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান — যুযুধান দুই দল। শনিবার দলীয় সভায় গিয়ে সেই প্রসঙ্গ তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে হলে, রিপাবলিকানদের বিপুল ভোটে জেতান। আমরা যাত্রা শুরু করেছি। সমস্ত মার্কিন নাগরিক আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”
২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৬ বছরের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন ক্ষমতায় আসেন। ভোটে হারলেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা যে এতটুকু কমেনি শনিবারের সভা তার প্রমাণ। বর্ষীয়াণ ওই রিপাবলিকান নেতাকে দেখতে বিশাল ভিড় হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পের মুখে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, শনিবার একটু বেশিই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, টেক্সাস বরাবরই রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আসন্ন নির্বাচনে সেখানকার অধিকাংশ সিট ট্রাম্পের দলের দখলেই যেতে চলেছে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
২০২০-তে নির্বাচনে পরাজয়ের পরও মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর ও আবাসস্থল ক্যাপিটাল হিল ছাড়তে চাননি ট্রাম্প। ওই সময় বহু রিপাবলিকান সমর্থক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেখানে ঢুকেও পড়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে ন্যাশনাল গার্ড নামে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায়। সেই ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। শুক্রবার সেই মামলাতেই ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দোষ প্রমাণ হলে ২০২৪-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি লড়তে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন