শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্ব প্রথম প্রকৃত জ্বালানি সঙ্কটে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিশ্বজুড়ে তরলীকৃত প্রাকৃতি গ্যাসের (এলএনজি) বাজারে কম তারল্য ও লেনদেনের উচ্চ ব্যয় এবং গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনকারীরা তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার ফলে বিশ্ব প্রথম প্রকৃত জ্বালানি সংকটের মধ্যে রয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)-এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল এই মন্তব্য করেছেন। সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সপ্তাহে প্রদত্ত ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। আইইএ প্রধান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপে এলএনজির আমদানি বৃদ্ধি এবং চীনে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাজারে সরবরাহ কম ও ব্যয় বাড়তে পারে। কারণ আগামী বছর মাত্র ২০ বিলিয়ন ঘন মিটার নতুন এলএনজি বাজারে আনার সামর্থ্য রয়েছে। ফাতিহ বিরল বলেছেন, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ মন্দার দ্বারপ্রান্তে থাকার কারণে এটি বিশেষ ঝুঁকির। যদি আমরা বিশ্ব মন্দার কথা বলি তাহলে আমি বলব ওপেকপ্লাসের তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত সত্যিকার অর্থে দুর্ভাগ্যজনক। কারণ বিশ্বে তেলের চাহিদা বেড়ে এই বছর ২ মিলিয়ন বিপিডির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বিরল আরও বলেছেন, আবহাওয়া যদি মৃদু থাকে তাহলে হয়ত কোনোভাবে ইউরোপ এই শীত পাড়ি দিতে পারবে। কিন্তু যদি তীব্র ও দীর্ঘ শীত হয়, যদি নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে বিস্ফোরণের মতো কিছু ঘটে, তাহলে ইউরোপকে এই শীতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেছেন, ২০২৩ সালে তেলের ব্যবহার ১.৭ মিলিয়ন বিপিডি বাড়তে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফলে বিশ্বের চাহিদা মেটাতে রাশিয়ার তেলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলো একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেছে। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু রুশ তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়া হবে। যাতে করে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কোর তেলের আয় কমিয়ে আনা যায়। বিরল বলছেন, এই পরিকল্পনার অনেক কিছুই এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং এটি বাস্তবায়নে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তেল আমদানিকারক দেশের সম্মতি লাগবে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন