বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তুরস্কের আপত্তিতে ন্যাটোস্বপ্ন অধরা ফিনল্যান্ড-সুইডেনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাক্সক্ষার অনুমোদন নিয়ে এখন সংশয় রয়েছে। কারণ তুরস্ক তাদের সদস্যপদের আবেদনে নতুন করে আপত্তি জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের আবেদনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি দেশগুলোর বিরুদ্ধে কুর্দি গোষ্ঠীসমূহকে (যেগুলোকে আঙ্কারা সন্ত্রাসবাদী বলে মনে করে) আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। অক্টোবরের শুরুতে তুর্কি এই নেতা স্টকহোমকে আঙ্কারার প্রতি দেশটির প্রতিশ্রুতি পালন না করার জন্য অভিযুক্ত করে বলেছিলেন যে, তুরস্কের শত্রুরা সুইডেনে অবাধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরদোগান অবশ্য বলেছেন, তুরস্কের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি সুইডেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত। দুভার নিউজ পোর্টালের বিশ্লেষক ইলহান উজগেল বলেছেন, ওয়াশিংটন থেকে কিছু ব্যাপারে ছাড় পাওয়াই এরদোগানের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সদস্যপদের আবেদনকে তিনি পশ্চিম থেকে কিছু পাওয়ার জন্য দর কষাকষির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। সেটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক হতে পারে; হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ক্রয় বা নির্বাচনের সময় বহির্দেশের সমর্থন। এরদোগান সম্পর্কে উজগেল আরও বলেন, তিনি সম্পূর্ণভাবে এবং সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছেন কারণ তিনি অভ্যন্তরীণভাবে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন। তাই, তাকে নির্বাচনে জিততে হবে, তাই ক্ষমতায় থাকার জন্য অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিকভাবে যা করা প্রয়োজন তিনি তা করতে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলেছেন, এরদোগান ন্যাটো এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন; কারণ তারা এরদোগানের ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী ঘাঁটির মধ্যে ভালো ভূমিকা পালন করে। এর অর্থ হলো ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। এছাড়া ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে তুরস্কের সাথে আলোচনা করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার ফোনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সাথে কথা বলেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। এ সময় বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দেশটির শস্য চুক্তি নিয়ে কথা বলেন দুই মন্ত্রী। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। তুরস্ক ও গ্রিসের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ফোনালাপের পর টুইটারে দেওয়া পোস্টে জেমস ক্লেভারলি বলেন, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শস্য চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। এজন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তুরস্ককে নিজ দেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার ও মিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেন, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই দেশ একযোগে কাজ করবে। আনাদোলু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন