আমস্টারডাম ও রটারডামে স্থাপিত চীনা অবৈধ পুলিশ অফিসগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপকে হোকস্ট্রা। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রকশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ডাচ বার্তা সংস্থা এএনপির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোকস্ট্রা বলেছেন, তিনি তার এই সিদ্ধান্তের কথা চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন। তিনি এই পুলিশ অফিসগুলোকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন। এসব পুলিশ অফিস স্থাপনে ডাচ কর্তৃপক্ষ কখনো সম্মতি দেয়নি। ডাচ মন্ত্রণালয় এখন খতিয়ে দেখছে এসব অফিসে ঠিক কি ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হতো।
গত সপ্তাহে চীনের এই অবৈধ সংস্থাগুলোর উপর সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়, এসব ‘পরিষেবা কেন্দ্রের’ আড়ালে চীনা কর্তৃপক্ষ দেশটি থেকে পালিয়ে আসা ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আর ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও চীনের এই ধরনের অফিস আছে।
হোকস্ট্রা উল্লেখ করেন, চীন বলেছিল এসব অফিসে দেশটির নাগরিকরা তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে পারে। কিন্তু এমন কনস্যুলার কাজের জন্যও স্বাগতিক দেশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এসব অফিস বিদেশেও নিজেদের নাগরিকদের চীনের আইন রক্ষায় এবং তাদের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছিল।
এদিকে গত সপ্তাহে জার্মান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফ্রাঙ্কফ্রুটেও চীন সরকারের কোনো অবৈধ পুলিশ স্টেশন কার্যক্রম চালাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছে দেশটি। অন্যদিকে আইরিশ সরকার বলেছে, তারা চীনকে ডাবলিনের ফুঝো পুলিশ ওভারসিজ সার্ভিস স্টেশন বন্ধ করতে বলেছে।
এ ছাড়া কানাডার ফেডারেল পুলিশ চীনের এসব তথাকথিত “পুলিশ” স্টেশনগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রতিবেদনগুলি তদন্ত করছে। চীন টরন্টোতে তিনটি পুলিশ স্টেশন পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন