ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টায় সব রুশ সেনাকে দিনিপ্রো নদী দিয়ে পূর্ব তীরে সরানো হয়। পশ্চিম তীরে কোনো সামরিক সরঞ্জাম বা অস্ত্র অবশিষ্ট নেই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে খেরসনই একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী, যা রাশিয়ার দখলে ছিল। তাই খেরসন হারানো রাশিয়ার জন্য বড় ধাক্কা।
এদিকে যে সেতু ব্যবহার করে রুশ সেনারা দিনিপ্রো নদী পাড়ি দিয়েছে, সেই সেতু ধ্বংস হয়েছে। তবে সেতুটি কীভাবে এবং কোন পক্ষ ধ্বংস করেছে সেটি পরিষ্কার নয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, খেরসনের স্থানীয় বাসিন্দারা আন্তোনিভস্কি ব্রিজে সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘দক্ষিণাঞ্চল থেকে আমাদের কাছে সুসংবাদ এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েক ডজন শহর পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়েছি। আমাদের পুনরুদ্ধার করা শহরের সংখ্যা অন্তত ৪১।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা খেরসন থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু স্থানীয় সময় বুধবার খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে সের্গেই শোইগু জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন। সুরোভিকিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করুন।’ সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন