মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলেছে মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতি। এ বছর ভোক্তাদের পণ্যমূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জুনে তা শতকরা ৯.১ ভাগে উঠে যায়। সেপ্টেম্বরেও তা শতকরা ৮.২ ভাগে সক্রিয় থাকে। মুদিপণ্য, আবাসন এবং মেডিকেল খরচও বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিক। সঙ্গে গ্যাসের দামও। গ্রীষ্মে প্রতি গ্যালন গ্যাসের দাম উঠে যায় কমপক্ষে ৫ ডলার। এসব ইস্যুতে রিপাবলিকানদের অনেকেই আশা করছিলেন বিশাল ব্যবধানে তারা ডেমোক্রেটদের পরাজিত করবেন। কিন্তু তারা সেই সুযোগ প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেননি। ফলে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই উভয় দল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত। অন্য অনেক দেশের মতোই যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়টাতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করছে। কিন্তু বর্ধিত পণ্যমূল্যের কারণে বেশির ভাগ ভোটার নির্বাচনে মত পাল্টেছেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অতি সম্প্রতি সরকার নতুন যে ডাটা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তাদের মুদ্রাস্ফীতি গত মাসে প্রকৃতপক্ষেই কমিয়ে আনা হয়েছে। অক্টোবরে কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই), যা মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, তাতে ১২ মাসের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় শতকরা ৭.৭ভাগ। কিন্তু ভোক্তামূল্য কয়েক দশকের মধ্যে উর্ধ্বে থেকে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন