জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে গেল ৬ নভেম্বর মিশরের শার্ম-আল-শেখ শহরে শুরু হয় জলবায়ু সম্মেলন কপ-টোয়েন্টি সেভেন। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহনকারী দেশগুলো এখনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে।
যে প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের সম্মেলন, শেষ পর্যন্ত তার সবকিছু কি পূরণ হয়েছে? এ নিয়ে একটি প্রাথমিক খসড়া চুক্তি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থা। সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে তৈরি প্রাথমিক খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে সম্মত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো।
এ ছাড়া বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় ধনী দেশগুলো। এমনকি ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তিতে দেশগুলো তাপমাত্রা কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেই চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে তহবিল গঠনের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। দ্বীপরাষ্ট্রগুলোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে থাকা অধিকাংশ দেশের প্রধান দাবি ছিল এটি।
তবে অমীমাংসিত থেকে গেল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু সঙ্কটের জন্য দায়ী বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশগুলো বিপন্ন দেশগুলোকে সহায়তা নিয়ে তহবিল গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে আছে। তবে তহবিল গঠনের বিস্তারিত অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও এ সংক্রান্ত আর কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে প্রাথমিক খসড়া চুক্তিটির চূড়ান্ত সংস্করণ কবে হবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। চূড়ান্ত চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সম্মেলনে অংশ নেয়া প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েই করা হয় এ খসড়া।
এ অবস্থায় এবারও গেলবারের কপ-টোয়েন্টি সিক্স জলবায়ু সম্মেলনের লক্ষ্যের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে বলে মত পরিবেশবিদদের। এতে প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি আসেনি বলেও মনে করছেন তারা। সম্মেলনে অংশ নেয়া প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের চূড়ান্ত চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য জানানো অনুরোধের ভিত্তিতে এই নথিটি করা হয়েছে। আসছে দিনগুলোতে জলবায়ু নিয়ে আলোচনার জন্য এ নথি একটি ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এবং এতে সম্ভবত আরও তথ্য যুক্ত হবে। সূত্র: ইউকে স্ট্যান্ডার্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন