দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরা মাছ-মাংস কিনতে পারছে না। কারণ আওয়ামী লুটপাট তন্ত্রে শুধুমাত্র নিজের লোকদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। অন্যদিকে অনাহারে বিপন্ন মানুষ হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না। মনে রাখবেন, ক্ষুধার্ত মানুষ কাউকে ভয় পায় না। তাদের পিঠ দেয়ালে থেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে নয়াপল্টনের ভাসানী ভবন মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘আগামীর বাংলাদেশ এবং তারেক রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শুক্রবার সয়াবিনের দাম ৮ টাকা, চিনির দাম ১২ টাকা এবং আটা ৬ টাকা বেড়েছে। এভাবে প্রতিদিন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি আজকে ডাবল ডিজিটে এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে পৃথিবীর স্ট্যান্ডার্ড মূল্যস্ফীতি ৩.৭ এর ঘরে।
বর্তমানে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের শত নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিগত পাঁচ বছর যাবত কারাগারে বন্দি। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় তারেক রহমান আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমান তার প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব ও দূরদৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন এমন কোনো প্রোগ্রাম নেই যেখানে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন না। তাঁর এত জ্বালা কেন?
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই অবৈধ সরকার আজকে বিএনপির জনসমাবেশগুলোতে সকল কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও মানুষ নদীপথে, পায়ে হেঁটে জনসমাবেশে যাচ্ছেন। গোটা পৃথিবী এই দৃশ্য অবলোকন করছে। সারাদেশে এই প্রোগ্রামকে ঘিরে তারা (ক্ষমতাসীনরা) হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শাওন, মুন্সীগঞ্জের শাওন, ভোলার আব্দুর রহিম, নূরে আলমকে তারা পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। ছাত্রলীগ হত্যা করে মারছে, যুবলীগ হত্যা করে মারছে।
রিজভী বলেন, এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী নিজেকে গণতন্ত্রের মালিক, সংবিধানের মালিক মনে করেন। অবৈধ ক্ষমতা হাতে থাকলে পাহাড়েও নৌকা চালানো যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অন্য মন্ত্রীরা বলেছেন- রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তো প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগকৃত ব্যক্তি। রিজার্ভ নিয়ে সরকার ফাঁক-ফোকর এবং মিথ্যার জাল বুনছে।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, অর্পণ বাংলাদেশের সভাপতি বিথীকা বিনতে হোসাইন, স্বাধীনতা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান মিন্টু, সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন