বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করছে পর্যটন জাহাজ বে ওয়ান

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন রুটের নতুন আঙ্গিকে চলাচল শুরু করছে বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এ জাহাজে পর্যটক চলাচল। কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের তারকা মানের ৭তলা এই প্রমোদতরীটি চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ছেড়ে শুক্রবার ভোরে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।

একদিন একরাত সেখানে অবস্থান করে শনিবার সকাল ১০টায় সেন্টমার্টিন থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ফিরবে। আর চট্টগ্রামে না ফিরে যারা কক্সবাজার যাবেন, তারা যেকোন দিন এই কোম্পানীর ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও নতুন ‘এমভি বারো আওলিয়ায় করে যেতে পারবেন সেখানে। গতকাল বুধবার পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে অবস্থানরত এমভি বে ওয়ানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সেন্টমার্টিন ক্রুজে চেপে সাগরবক্ষ থেকে গোটা প্রবালদ্বীপ, ছেড়াদ্বীপ ও নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখারও ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য এবার চার্জও কমানো হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভ‚মিকা রাখছে বে ওয়ান।

৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৭তলা বিলাসবহুল এই প্রমোদতরিটি সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন সুবিধা সম্বলিত। ১৮শ’ আসনের জাহাজটিতে সাধারণ চেয়ার থেকে বিলাসবহুল কেবিন, সিভিউ ও রুফটপ বাফেট রেস্তোঁরাসহ একাধিক ট্রেডিশনাল রেস্তোঁরা, আইসক্রিম ও কফিবার, ব্রান্ড শপ সবই আছে। জাহাজ পরিচালনা ও পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য এতে ১০০ এর বেশি নাবিক রয়েছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় যাবতীয় সরঞ্জামও আছে।

বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে হয় বলে আন্তর্জাতিক মানের নৌনিরাপত্তা সম্বলিত এই জাহাজে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য রয়েছে লাইফ জ্যাকেট ও জীবনতরীসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি। বিশেষ করে সাগরে ঢেউ হলে জাহাজের তলদেশে থাকা দুইপাশে দুটি পাখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঢেউয়ের মুখেও জাহাজ দুলতে থাকেনা। যাত্রীসেবার বিবেচনায় জাহাজটিকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোসহ যাতায়াত ভাড়াও বিগত মৌসুমগুলোর তুলনায় কিছুটা কমানো হয়েছে। এম এ রশিদ জানান, প্রতিবছর কক্সবাজারে দেড় কোটি পর্যটক ভ্রমণ করে। কিন্ত কক্সবাজার সৈকতের জেটি না থাকায় সেখানে জাহাজ ভেড়ানো যায় না। চট্টগ্রাম পর্যটক কম থাকায় জাহাজটি লোকসান দিচ্ছে। এরপরও পর্যটন খাতের বিকাশে এটি চালু রাখা হয়েছে।

সড়ক পথে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ, সেখান থেকে নৌপথে সেন্টমার্টিন যেতে হত। সব মিলিয়ে ২৮২ কিলোমিটারের যাত্রা পথে আছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা। সাগর পথে ২৩৬ কিলোমিটার দূরে সেন্টমার্টিন যেতে সেই বিড়ম্বনা নেই। বরং বাড়তি পাওনা নদী সাগরের বিচিত্র রূপ আর মুগ্ধতা। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ২০২০ সালে ‘কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের অধীনে শুরু করে এ পর্যটন জাহাজ চলাচল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন