রাজস্ব ঘাটতির ধাক্কায় জেরবার ভারতের মোদি সরকার। চলতি অর্থবর্ষের হিসেব বলছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবর, এই ৭ মাসে কেন্দ্রের রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে হয়েছে ৭.৫৮ লক্ষ কোটি রুপি। সারা বছরের যে ধার্য লক্ষ্যমাত্রা তার মধ্যে ৪৫.৬ শতাংশ এই কয়েক মাসেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বুধবার প্রকাশিত তথ্য থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
গত বছর রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ এই সময়কালে অনেকটাই কম ছিল। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসে পূর্ণ হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার ৩৬.৩ শতাংশ। সেই সময় ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫.৪৭ লক্ষ কোটি। গত অক্টোবরেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, সেই মাসে কেন্দ্রের রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ ১.৩৮ লক্ষ কোটি রুপি, যা গত বছরের তুলনায় ৭ গুণ বেশি। যা প্রমাণ করে দিচ্ছে এবছর এই পরিমাণ কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কাকে বলে রাজস্ব ঘাটতি? রাজস্ব ঘাটতি হল সরকারের মোট ব্যয় এবং ঋণ ব্যতীত মোট আয়ের মধ্যের পার্থক্য। সরকারের ব্যয় আয়ের চেয়ে বেশি হলে এই ধরনের ঘাটতি দেখা যায়। উল্লেখ্য, কোভিড শুরুর আগেই, ২০১৯ থেকে ভারত অর্থনীতির চাহিদার অভাবে ধুঁকছিল। গত তিন বছরের আর্থিক মন্দা আমদানির চাহিদাকেও কমিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংকের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিডের ক্ষত মেরামতে ১২ বছর প্রয়োজন।
২০২০-তে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার সময় লকডাউনের জেরে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি সম্পূর্ণ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। বহু দেশে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও অর্থনৈতিক কাজকর্মই ছিল না। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বের যে অর্থনীতিগুলি ২০০৮-এর আর্থিক মন্দাকেই পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তাদের পক্ষে লকডাউনে সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে যাওয়া একটি বড় ধাক্কা ছিল।
২০০৮-এ পৃথিবী জুড়ে যে আর্থিক মন্দা ছিল, তার ধাক্কা সেই সময় সরাসরি ভারতের উপর এসে পড়েনি। কিন্তু ওই সময় উন্নত দেশগুলির আর্থিক ক্ষতি পরে ভারতের বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এবার করোনার ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সেই ধাক্কা যে এখনও কাটেনি সাম্প্রতিক রাজকোষ ঘাটতিতে তা আবারও প্রমাণ হল। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন