আধ ডজন মুদ্রার বিপরীতে কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পাউন্ড ডলারের বিপরীতে ১.৫ শতাংশ বেড়ে ১.২২৪ ডলারে পৌঁছেছে, ইউরো ১.১ শতাংশ বেড়েছে এবং জাপানের ইয়েন ২.১ শতাংশ বেড়েছে এবং ডলারের মূল্য কমেছে ১.২ শতাংশ। ডলারের পতন হল ফেডের হারের পথের জন্য বাজারের প্রত্যাশার পরিবর্তনের সর্বশেষ চিহ্ন যা এ বছর বিশ্ববাজারে আধিপত্য বিস্তারকারী একটি সমস্যা। লম্বার্ড ওডিয়ার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের ইক্যুইটি প্রধান দিদিয়ের রাবাত্তু বলেছেন, ‘বাজারটি এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে যে. মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই ইতিহাস এবং এটি খুব শিগগিরই স্থিতিশীল হবে এবং ডিসেম্বরের পর থেকে হার বৃদ্ধি হ্রাস পাবে’।'
ডলারের দর ২০২২ সালের বেশিরভাগ সময় জুড়ে বেড়েছে কারণ মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তুলনায় আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে, গত মাসে প্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতির অনুমানের তুলনায় এটি শ্লথ হয়েছে এবং বুধবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধান জে পাওয়েল ও বৃহস্পতিবারের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য আশা জাগিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক শিগগিরই ডলারের দর বৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেবে। ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্টের একটি পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মার্কিন উৎপাদন শিল্পে ব্যয়ের চাপ ২০২০ সালের পর থেকে দ্রুততম গতিতে শিথীল হচ্ছে। রাবাত্তু বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে যা দেখছি, তা হল মূল্যস্ফীতির কিছু গুরুতর নিয়ামক অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে, খাদ্য, গ্যাসের দাম, সম্পত্তি, সব একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে।’
পাওয়েল বুধবার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনে বলেছেন, ডিসেম্বরের বৈঠকের সাথে সাথেই মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির গতি নিয়ন্ত্রণ করার সময় আসতে পারে। পাওয়েলের বক্তৃতার প্রতিক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার পর মার্কিন সরকারের বন্ডগুলোরও বিক্রি বেড়েছে। ট্রেডওয়েবের তথ্য অনুসারে, ১০-বছরে বেঞ্চমার্ক নোটের দাম ০.১৯ শতাংশ কমে ৩.৫১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে, প্রাথমিক বিনিয়োগ বাজারে ২০২১ সাল থেকে প্রথমবার এসএন্ডপি-৫০০ ০.১ শতাংশে নেমেছে। নাসদাক কম্পোজিট ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ইউরোপের স্টক্স-৬০০ ০.৯ শতাংশ বেড়েছে।
ভবিষ্যতের বাজার দেখাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা এখন আশঙ্কা করছে যে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তার মূল সুদের হার ২০২৩ সালে বছর প্রায় ৪.৯ শতাংশের শীর্ষে উন্নীত করবে, যার পূর্বাভাস এ সপ্তাহের শুরুতে ৫ শতাংশ এবং নভেম্বরের শুরুতে সর্বোচ্চ ৫.১৪ শতাংশ ছিল। বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে, সুদের হার ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ৪.৪ শতাংশে ফিরে আসবে, যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করছেন যে, সুদের হারগুলো শীর্ষে পৌঁছানোর পর একটি বর্ধিত সময়ের জন্য চড়া থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন