ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথক নাগা অধ্যুষিত জেলা তৈরির সিদ্ধান্তের জের ধরে ভয়াবহ রকমের অশান্ত হয়ে পড়েছে ভারতীয় রাজ্য মণিপুর। চলছে নাগা ও মণিপুরীদের অবরোধ পালটা অবরোধ ও সন্ত্রাসী হামলা। পূর্ব ইম্ফল জেলায় অন্তত ২২টি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়। নাগা-বিরোধী মণিপুরীদের বিরুদ্ধে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার শুরু হয় বাসে আগুন দেয়ার পালা। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার খবর দিয়েছে। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে ইম্ফল থেকে নাগা অধ্যুষিত উখরুল জেলায় যাওয়ার রাস্তা। পরিস্থিতি শান্ত করতে রাজ্যে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে কারফিউ।
রাজ্যে নাগা অধ্যুষিত সাতটি জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং। এর বিরোধিতায় শামিল হয়েছে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল। তাদের বিক্ষোভ ও অবরোধে বিপর্যস্ত মণিপুরের অর্থনীতি। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যটিতে নাগা জাতির সঙ্গে অন্যান্য জাতির বিরোধিতা ক্রমেই বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে যে, নির্বাচন আসন্ন জেনে রাজ্যে জাতিবিদ্বেষ তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিং। তিনি নাগা অধ্যুষিত অঞ্চলে নতুন জেলা গঠনের সিদ্ধান্তে অনড়। ফলে মণিপুর নিবাসী নাগা জাতির মধ্যে ক্ষোভ উসকে উঠেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন এই রাজ্যে।
মণিপুরের উখরুল, চান্দেল, তামেংলং ও সেনাপতি জেলা নাগা অধ্যুষিত এলাক। এই অঞ্চলে নাগাল্যান্ডের শাসক দল এনপিএফ (নাগা পিপলস ফ্রন্ট)-এর প্রভাব বেশি। একই সঙ্গে এনএসসিএন (আই-এম) গোষ্ঠীর প্রভাবও রয়েছে। সংগঠনটি সম্প্রতি অস্ত্র ত্যাগ করে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। গত শনিবার এনএসসিএন (আই-এম)-এর বিরুদ্ধেই সেনা ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুঠের অভিযোগ তোলা হয়। যদিও রাজ্য সরকারের দাবি অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন