শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

একটি পরাশক্তি পরিচালনার মতো ধারণাই নেই ট্রাম্পের : বেইজিং

| প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ বলা হয়, একটি পরাশক্তিকে কীভাবে পরিচালিত করতে হয় সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সোমবার সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়, এক মাসের মধ্যে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দায়িত্বে আসবেন, কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্টের মতো আচরণ করছেন না। একটি পরাশক্তিকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো ধারণাই নেই তার।  সম্প্রতি দক্ষিণ চীনসাগর থেকে মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষণাকাজে নিয়োজিত আন্ডারওয়াটার ড্রোন জব্দ করা নিয়ে চীন সম্পর্কে একাধিক তীর্যক মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তারই বিপরীতে চীনা সংবাদপত্র ট্রাম্পের সমালোচনা করে সম্পাদকীয় লিখেছে। উল্লেখ্য, চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত বক্তব্যকে চীনের রাষ্ট্রীয় অবস্থানের প্রতিফলন বলেই মনে করা হয়। সংবাদপত্রটিতে আরো বলা হয়, বেইজিংয়ের ওপর এই আক্রমণ তার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ, নাকি ধনকুবেরের অনভিজ্ঞতার প্রতিফলন, চীনের জনগণ তা বুঝতে পারছে না।
ওই সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলা হয়, যদি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরও তিনি (ট্রাম্প) চীনকে নিয়ে এভাবে টুইট করতে থাকেন, তাহলে চীন চুপ থাকবে না। এক কট্টর ট্রাম্পের জন্য চীনা সরকারকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শনিবার এক টুইট বার্তায় চীনকে চোর বলে উল্লেখ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষণা কাজে চালিত ড্রোন চুরি করেছে। নজিরবিহীনভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে তারা ড্রোনটি চীনে নিয়ে গেছে।
পরে অপর এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, আমাদের চীনকে বলা উচিত, চুরি করা ড্রোন ফেরত চাই না। তারা তা রেখে দিক! ৪৪ বছরের সেই রীতি ভেঙে কিছুদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ট্রাম্প। ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক চীন নীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই টেলিফোন আলাপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এ ইস্যুতে বেইজিং প্রথম প্রতিক্রিয়ায় একে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পররাষ্ট্রনৈতিক বোঝাপড়ার অভাব বলে উল্লেখ করে। এরপর থেকে ট্রাম্প-চীন উভয়পক্ষ থেকে সমালোচনামূলক মন্তব্য আসতে থাকে। ট্রাম্প একাধিকবার এক চীন নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এর জবাবে চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, ওই এক চীন নীতিই চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি। দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন